প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল ভেবেছিল, তারা বুঝি মাঠে একাই রয়েছে। আর কোনো রাজনৈতিক দল তাদেরকে পাল্লা দিতে পারবে না। আজ তৃণমূল ভবনে মেগা যোগদান করিয়ে শাসক দল টিভির পর্দায় একা থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়ে পাল্টা তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরিয়ে যে যোগদান বিরোধী শিবিরে হলো, তাতে শংকর মালাকারের যোগদানের পর তৃণমূল শিবিরের আনন্দ উদযাপনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কি ঘটনা ঘটেছে? বর্তমানে যখন চারিদিকে তৃণমূলের এত জনপ্রিয়তা, তখন তৃণমূল ছেড়ে বিরোধী শিবিরে যোগ দিলেন কোন হেভিওয়েট?

জানা গিয়েছে, এদিন বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে একটি বড় মাপের দলবদল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। একসময় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন কার্তিক সাহা। তৃণমূলের যোগদান করার পর তাকে শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি বসানো হয়েছিল। আর আজ সেই কার্তিক সাহা সহ প্রায় ৫০ এর বেশি তৃণমূল কর্মী সমর্থক ফিরে আসলেন হাত শিবিরে। যেখানে তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

কিন্তু শংকর মালাকারের মত নেতা যখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করছেন, তখন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেস কেন এলেন তিনি? এই ব্যাপারে কার্তিক সাহার মন্তব্য, “বিগত ২০২২ সালে পৌরসভা দখল করার পর তৃণমূল তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেছে। তাই তারা আবার তাদের পুরনো দলের হাত ধরলেন।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তৃণমূল ভেবেছিল, তারা বুঝি একাই বিরোধী শিবিরকে ভাঙতে পারে। উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট মুখ বলে পরিচিত শংকর মালাকার, যিনি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা, তাকে নিজেদের দলে নিয়ে এসে তৃণমূল বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দিচ্ছে, এরকম একটা প্রচার করার চেষ্টা করেছিল। তবে কার্তিকবাবু যেভাবে তৃণমূলের এই ভরা বাজারে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যুক্ত হলেন, তাতে কি বলবেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খুব দ্রুত হয়ত কার্তিকবাবুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা শুরু করে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ সব জায়গায় দখলদারি মনোভাব ফলানোই এই রাজ্যের শাসকদলের একমাত্র লক্ষ্য। তারা চায়, কেউ যাতে বিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত না মেলায়, কেউ যাতে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে। তাই সবাইকে বলপূর্বক নিজেদের দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। তবে বেছে বেছে অধীর চৌধুরী শংকর মালাকারের তৃণমূলে যোগদানের দিনেই তৃণমূলের ঘর ভেঙে কার্তিক সাহাকে যেভাবে কংগ্রেসে যোগদান করালেন, তাতে কিন্তু শাসকের রক্তচাপ ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।