প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সত্যি, এই বাংলায় তৃণমূল সরকারের আমলে কত কিছুই না দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আরজিকরের ঘটনা দেখলো বাংলার মানুষ। দেখলো, কিভাবে টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার মেধা চাকরি হারিয়ে পথে বসে গেল। আবার এখন ভাইরাল অডিও ক্লিপকাণ্ডে পুলিশকে হুমকি দেওয়া অনুব্রত মণ্ডলের যিনি চিকিৎসক, যিনি তাকে মেডিকেল সার্টিফিকেটে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, সেই হিটলার চৌধুরীর যে তথ্য সামনে এলো, তাতে তো অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে। সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক হয়েও, একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কর্মরত এই হিটলার চৌধুরী। স্বাভাবিকভাবেই একই ব্যক্তি কি করে দুই জায়গায় চাকরি করছেন, এর পেছনে কার অবদান রয়েছে, কার আশীর্বাদের হাত তার মাথায় রয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বলা বাহুল্য, ভাইরাল অডিও ক্লিপ কাণ্ডে রীতিমত ফেঁসে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হলেও, তিনি সেখানে যাননি। প্রথমে আইনজীবীদের পাঠানোর পর একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন তিনি। আর সেই সার্টিফিকেটের নিচে এইচ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির সই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সার্চ করা মাত্রই সেই ব্যক্তির নাম হিটলার চৌধুরী বলে দেখাচ্ছে। আর হিটলার চৌধুরী সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়েই দেখা গেল যে, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তিনি একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক। শুধু তাই নয়, শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজেও কাজ করেন তিনি। আর এই তথ্য সামনে আসার পরেই প্রশ্ন উঠছে, কি করে এক ব্যক্তি দুই জায়গায় চাকরি করতে পারেন?

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এই হিটলার চৌধুরীর মত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। নাম যেমন, কাজেও তেমন। এদের পেছনে কাদের আশীর্বাদের হাত রয়েছে, তা তো স্পষ্ট। যারা এই রাজ্যের তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ, যারাই এই রাজ্যে শাসক দলের বড় বড় রাঘববোয়ালদের ঘনিষ্ঠ, তারাই যা খুশি করে যেতে পারবে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার তা প্রমাণ হয়ে গেল বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।