খরচ কমানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে কি বললেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কলকাতা রাজ্য July 6, 2018 সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বারবার তোপ দেগেছেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। এ নিয়ে দফায় দফায় মন্তব্য বিতর্কেও জড়িয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু বিরোধীদের সবরকম সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে বারবারই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আক্রমণ শানাতে দেখা গেছে তাকে। হ্যাঁ,তিনি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এবার তাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই পড়ল বঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করার জেরে। তবে এটাই প্রথম নয়। এরকম নজির তিনি বহুবার রেখেছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক মূল খবরটি। প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ – Priyo Bandhu Bengali —————————————————————————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের এক কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন দিলীপবাবু। সেখানে হাজির ছিলেন দলের জেলা ও ব্লক কার্যকর্তা সহ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীরাও। এই কর্মশালার পরই সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের খরচ কমানো নিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রীকে। জানান যে, প্রশাসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনোদিনই চালাননি এবং চালানোর কোনো সদিচ্ছা নেই তাঁর। আজ উনি খরচ কমানোর কথা বলছেন! এতোদিন প্রশাসনিক বৈঠকের নাম করে জঙ্গলে,গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এভাবে কয়েকশো কোটি টাকার মোচ্ছব করেছেন তিনি। ওনার স্টন্টবাজি নাকি মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে। তাই রাজ্যের মানুষ এখন বিরক্ত। খুব জলদিই তাই পরিবর্তন আসতে চলেছে রাজ্যে। সম্প্রতি রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এদিন তিনি কোনো নেতার নাম প্রকাশ্যে না এনেই ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে জানান যে, যারা বিজেপিতে আসতে চায় তাদের সকলের জন্য বিজেপির দরজা খোলা আছে। এরসঙ্গে জুড়ে রাজ্য বিজেপির সেনাপতি আরো জানান যে, পুরুলিয়ার পুলিশের দাপটের যদি কেউ তৃনমূলের টিকিট কেটে থাকে তার মানে এটা কখনোই নয় যে তিনি ফিরবেন না। প্রশাসনের চাপে প্রাণের ভয়ে দল পাল্টাতেই পারেন কিন্তু দলে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বঙ্গের পদ্মশিবিরের। এমনটাই জানালেন। তাঁর এ ধরণের তৃণমূল নেত্রীকে বিতর্কিত মন্তব্যের পর নবান্না কর্তাদের তরফ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে শাসকশিবিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে এমনটা আন্দাজ করছেন রাজ্যনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশ। আপনার মতামত জানান -