প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন ভুতুড়ে ভোটারের অভিযোগ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপি অভিযোগ করছে যে, এই রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের অসৎ উপায়ে ভোটার তালিকায় নাম ঢোকানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে বেছে বেছে হিন্দু ভোটারদের নাম কাটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। আর এবার সেই অভিযোগকে তুলে ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের অত্যন্ত দুই গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
বলা বাহুল্য, গতকাল রবিবার নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর “মন কি বাত” সম্প্রচার অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই ভোটার তালিকায় চক্রান্ত করে হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে ভোটার তালিকা থেকে অনেকের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দুবাবু। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের অত্যন্ত দুই গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক, ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত এবং কাকদ্বীপের এসডিও মধুসূদন মন্ডলের বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু কি অভিযোগ এই দুই প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে?
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সরাসরি অভিযোগ করছেন, ভোটার তালিকায় যে কারচুপি চলছে, সেক্ষেত্রে এই দুই প্রশাসনিক কর্তা জড়িত। তাই তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “পরিচয় পত্রের অপব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি যদি ১০ হাজার টাকা দেন, তাহলে তারা ভোটার তালিকায় নাম তুলে দিচ্ছে। আর এই পরিকল্পনাটি বিশেষভাবে বাংলাদেশ থেকে আসা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে হিন্দু ভোটারদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রশাসন ছাড়া এখন আর কিছুই বোঝেন না। এমনকি ক্ষমতায় আসার পর তিনি দলের থেকে বেশি প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সকলে। আর তার প্রশাসনের দুই গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এবার ভোটার তালিকায় কারচুপির যে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী তুললেন এবং যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন, তাতে কিন্তু ২৬ এর নির্বাচনের আগে চরম পাকে পড়তে হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে। কেননা তার প্রশাসনের দুই গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকের দিকে প্রশ্ন ওঠা মানে সরাসরি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করে চাপ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।