এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফিরহাদের বিরুদ্ধে আজই কি কড়া পদক্ষেপ? চূড়ান্ত অসভ্যতা তৃনমূল কর্মীদের! কটাক্ষ বিরোধীদের!

ফিরহাদের বিরুদ্ধে আজই কি কড়া পদক্ষেপ? চূড়ান্ত অসভ্যতা তৃনমূল কর্মীদের! কটাক্ষ বিরোধীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ সাতসকালে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে। অনেকে বলছেন, এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটা কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। আর সেটা বুঝতে পেরেই কি ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরা দেখে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন তৃণমূল কর্মীরা? এদিন ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যখন সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন, তখন বাইরে চূড়ান্ত অসভ্যতা করতে দেখা গেল শাসক দলের একাংশকে। যা দেখে বিরোধীরা বলছেন, এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। তারা নাকি আইনের ধারক এবং বাহক। তারা নাকি আইনের শাসনকে রক্ষা করে। কিন্তু তদন্ত যখন হচ্ছে, তখন কেন তারা বাইরে এই ধরনের বিক্ষোভ দেখাচ্ছে?

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। সম্প্রতি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষন তল্লাশি চালিয়েছেন তারা। আর সেই সময় বাইরে নাটক শুরু হয়ে যায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। তারা দাবি করেন যে, প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নাকি এই কাজ করছে। আর এবার ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই পৌঁছতেও সেই একই নাটক দেখা গেল চেতলাতে। কিন্তু এসব করে তৃণমূল কর্মীরা মিডিয়াতে খবরে আসতে পারেন। কিন্তু আইনকে পাল্টে দিতে পারবেন না বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে, বেশিদিন আর তাদের দলের নেতারা বাইরে থাকবেন না। একের পর এক দুর্নীতির জালে তারা জড়িয়ে পড়ছেন। সততার প্রতীক নেতারা অনেক বড় বড় কথা বলতে পারেন। কিন্তু দিনের শেষে একটা জিনিস স্পষ্ট হচ্ছে, তৃণমূলের চালাকি ধরে পড়ে ধরা পড়ে যাচ্ছে। তবে এবার যখন কিছুতেই কিছু আটকানো যাচ্ছে না, তখন যে নেতার বাড়িতে সিবিআই বা ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যাচ্ছেন, তাদের বাড়ির বাইরে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তারা অভিযোগ করছেন, তাদের নেতাকে নাকি বদনাম করা হচ্ছে, তাদের নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। সবটাই যেন তৃণমূলের খেয়াল খুশি মতো চলবে। কিন্তু এসব করে তদন্তকে আটকানো যাবে না‌। আইন আইনের পথে চলবে এবং শেষ পর্যন্ত দোষীরা সাজা পাবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একশো দিনের কাজের দাবিতে বঞ্চনার অভিযোগ করে ধর্নার নাটক করছে তৃণমূল। কিন্তু তারা যখন আইনকে রক্ষা করার বড় বড় কথা বলে, তখন তাদের নেতার বাড়িতে যখন সিবিআই যাচ্ছে, তখন বাইরে কেন তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন? এটা কোন ধরনের আইন রক্ষার নিদর্শন দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা! তাহলে কি তারা বুঝতে পেরেছেন যে, তাদের নেতাদের জেলযাত্রা নিশ্চিত! তাই শেষ পর্যন্ত যে করেই হোক, বাইরে একটা নাটকের পটচিত্র তৈরি করে দেখাতে হবে যে, তাদের নেতার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ করছে বিজেপি। ফলে এই রকম একটা নাটক তৈরি করে এখন ময়দান কাপাচ্ছেন আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতারা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!