এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সাতসকালে বাড়িতে সিবিআই, মদনের কপালে কি আবার দুর্ভোগ? খোঁচা বিরোধীদের!

সাতসকালে বাড়িতে সিবিআই, মদনের কপালে কি আবার দুর্ভোগ? খোঁচা বিরোধীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কিছুদিন আগেই ধর্ণা মঞ্চ থেকে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন তৃণমূলের কালারফুল বয় মদন মিত্র। তিনি নাকি বাংলার চাকর হতে রাজি, কিন্তু দিল্লির কুকুর হতে রাজি নন। মাঝেমধ্যেই তার মুখ থেকে অনেক বড় বড় ডায়লগ শুনে অভ্যস্ত বাঙালি। কিন্তু এবার কি সেই তৃণমূল বিধায়কের গ্যাস বেলুনের হাওয়া ফুস হতে চলেছে? এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ আজ সাত সকালে সেই মদন মিত্রের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আধিকারিকরা। যা দেখে বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, আবার কি এই মদনবাবুর কপালে বড়সড় দুর্ভোগ রয়েছে?

প্রসঙ্গত, আজ সকালে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ি কার্যত ঘিরে রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। আর তার কিছু পরেই খবর পাওয়া যায় যে, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। মূলত, পৌরসভায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের তদন্তের ক্ষেত্রেই সিবিআই আধিকারিকদের এই তৎপরতা। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এই পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। আর এবার একেবারে ছুটির দিনে ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বাড়িতে সিবিআইয়ের পৌঁছে যাওয়া চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে।‌

বিরোধীদের কটাক্ষ, সবে তো খেলা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা হতে এখন অনেক দেরি। দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না। তবে মদনবাবু এর আগেও দীর্ঘ মাস জেল খেটে এসেছেন। এবার আবার যেভাবে সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে, তাতে তার কপালে ঘাম ছুটবে না তো? যেভাবে পৌর নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাতে শেষ অনেক রাঘববোয়ালের শেষ ঠিকানা হতে পারে শ্রীঘর। হয়তো তার প্রাথমিক টেলিকাস্ট চলছে। খুব দ্রুত এর ফাইনাল রেজাল্ট দেখতে পাবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কালারফুল বয় মদন মিত্র রাজনীতির পাশাপাশি এখন সিনেমা করতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তার বিভিন্ন চমকপ্রদ বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সিবিআইয়ের সাত সকালে তার বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া হয়ত মদনবাবু নিজের কল্পনাতেও আনতে পারেননি। এখন তিনি হাতেনাতে তার ঠ্যালা পাচ্ছেন। যদি তদন্তে সহযোগিতা না করেন, তাহলে সিবিআই যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার, সেটাই গ্রহণ করবেন। আর তাতে আবার দুর্ভোগ শুরু হবে কালারফুল বয়ের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!