ডিএ আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা? মমতার স্বপ্নের দফারফা, মুখোশ খুললো বিজেপি! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 6, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলদাস পুলিশকে দিয়ে সবার কণ্ঠরোধ করেছেন। কিন্তু ডিএর দাবিতে যারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন, তাদের কণ্ঠরোধ তিনি করতে পারেননি। আন্দোলন বর্তমানে অনশনের পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু তবুও এই সরকারের সহানুভূতি পাওয়া যায়নি। আর এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর বেশ কিছু নিয়ম থাকার জন্য যেখানে সেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আন্দোলন করছিলেন, সেখানে ছাউনি খুলে নেওয়ার পর এই রাজ্যের তৃণমূল নেতারা বেজায় খুশি। তারা এমন একটা ভাব দেখাচ্ছিলেন যে, এবার এই আন্দোলন যেন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের দাবি যতক্ষণ না পূরণ হবে, ততক্ষণ প্রয়োজনে তারা খোলা মাঠে বসে থাকলেও সেখানে বসে থেকেই আন্দোলন করবেন। আর কোনোভাবেই মহার্ঘভাতার দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে বাগে আনতে না পেরে এখন কার্যত দিশেহারা এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সবাই যে তার দম দেওয়া হাতের পুতুল নয়, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এর মাঝেই সেই সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশের এই প্রতিবাদকে বন্ধ করতে রাজ্য সরকার যে প্রতিমুহূর্তে প্ররোচনা করছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, এসব করে বা এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চক্রান্ত করে এই রাজ্য যে সফল হবে না, সেই ব্যাপারেও নিজের কথা ব্যাখ্যা করলেন এই বিজেপি নেতা। প্রসঙ্গত, ডেকোরেটর্সরা সেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্যান্ডেল খুলে নেওয়ার পর থেকেই যারা এই আন্দোলন করছেন, তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, এর পেছনে রাজ্যের শাসক দলের একটা চক্রান্ত রয়েছে। তারাই পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। তবে তৃণমূল বলতে শুরু করেছিল যে, এর পেছনে তাদের দায় নেই। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সরকার যে প্রতি পদে পদে এই আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য চক্রান্ত করেছে, তারা যে প্ররোচনা দিয়েছে, সেই অভিযোগ করলেন। পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়ে দিলেন যে, এই আন্দোলনকে কোনোমতেই বন্ধ করে দিতে পারবে না এই রাজ্যের সরকার। হয়ত আর্মির কিছু নিয়মের জন্য এক-দেড় দিনের জন্য সেই ছাউনি খুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আলোচনার ভিত্তিতে সেই সমস্যা মিটে যাবে। তবে তৃণমূল নেতাদের খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। আন্দোলন যে পর্যায়ে ছিল, তা তো কমবেই না। বরঞ্চ এর ঝাঁজ আরও বাড়বে এবং আগামী দিনে এই সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গদিকে হেলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলেই দাবি একাংশের। বিজেপির দাবি, সব জায়গায় বিরোধী কণ্ঠস্বর এবং প্রতিবাদী সত্ত্বাকে দমন করতে চায় এই রাজ্য সরকার। কারণ তারা এই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে। তাই এই সরকারের মুখোশ যখন খুলে দিচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা, তখন দমন পীড়নই প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে এই রাজ্য সরকারের। তবে এদের শেষের সময় আসন্ন। আগামী দিনে ভোট বাক্সে এর সঠিক জবাব দেবেন সেই সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্ষমতায় এসে রাজ্যের সাধারণ মানুষ তো বটেই, সরকারি কর্মচারীদের পর্যন্ত বঞ্চিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার এত ফারাক হওয়ার পরেও তার লাল-লজ্জা বলতে কিছু নেই। এতদিন ধরে তিনি যাদের দিয়ে কাজ করান, সেই সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন, তারা অনশন করছেন, অথচ তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো তো দূরের কথা, তার দলের নেতারা মাঝেমধ্যেই সেই সমস্ত আন্দোলনকারীদের বিরোধীদের দালাল বলে কটাক্ষ করতেও বাকি রাখছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারি কর্মচারীদের যেভাবে ক্ষেপিয়ে তুলছে এই রাজ্য সরকার, তাতে আন্দোলন ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। সেই সমস্ত আন্দোলনকারীদের জেদ নিজেদের অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট তৃণমূল। যা আগামী দিনে তাদের ভয়ংকর বিপদের সামনে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -