এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আপকি বার, 400 পার, লোকসভায় বাজিমাত মোদীর! কম্পন বিরোধী শিবিরে!

আপকি বার, 400 পার, লোকসভায় বাজিমাত মোদীর! কম্পন বিরোধী শিবিরে!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যদি কাউকে পাগলা কুকুরে না কামরায়, যদি কেউ বুনো হাতির তাড়া না খান, তাহলে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অন্তত এই দেশের কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ, তারা এখন যাবেন না। যারা একটু হলেও রাজনৈতিক সচেতন, তারা সকলেই থাকবেন বিজেপির সঙ্গে। কারণ বিজেপি আর যাই করুক, নিজেদের দেওয়া প্রত্যেকটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। রাম মন্দির থেকে শুরু করে তিন তালাক বিলোপ, কাশ্মীরে 370 ধারা তুলে দেওয়া, একের পর এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। একটি পদক্ষেপ শুধুমাত্র বাকি রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যে সেই কাজও সম্পন্ন হয়ে যাবে দেশে। আর তা হবে লোকসভা নির্বাচনের আগেই। অর্থাৎ কথা দিয়ে যদি কেউ কথা রাখতে পারে দেশের মাটিতে, তাহলে তার নাম নরেন্দ্র মোদী। তাই এবারে আবার যে সেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি, বলা ভালো এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে, সেই সম্পর্কে দ্বিমত নেই কারও মধ্যেই। কিন্তু তবুও রাজনীতি করার জন্য খবরের শিরোনামে টিকে থাকার জন্য নিজেরা মুছে যাচ্ছেন, এই ভয়ে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ইন্ডি জোটের এখন পিন্ডি চটকে গিয়েছে। আর এসবের মাঝেই আজ নরেন্দ্র মোদী নিজের জবাবী ভাষণ দিতে গিয়ে কারওর দয়া দাক্ষিণ্য, এমনকি বিরোধীরা শক্তিশালী হলেও যে তার ক্ষমতায় আসতে কোনো বাধা নেই, তা স্পষ্ট করে দিলেন।

প্রসঙ্গত, আজ লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “এবার বিজেপি একাই 370 টা আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। আর এনডিএ 400 এর বেশি আসন পাবে।” অনেকে বলছেন, বিরোধী জোট যদি একত্রিত থাকত, তারা যদি শক্তিশালীও থাকত, তবুও তারা নরেন্দ্র মোদীকে এবার ক্ষমতাচ্যুত করার ধারের কাছে যেতে পারত না। কারণ নরেন্দ্র মোদির দেশ জুড়ে যা প্রভাব, তার যা জনপ্রিয়তা, সেটা আকাশচুম্বি। বিজেপির বিকল্প মানুষ আর খুঁজে পাচ্ছে না। বিজেপির বিকল্প একটাই উন্নততর বিজেপি। তাই মানুষ আবারও দেশের উন্নতির স্বার্থে যে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করতে নারাজ, তা আজকের বক্তব্যের পর আরও একবার বিরোধী শিবিরের কাছেও আতঙ্কের হলেও সত্যি হয়ে দাঁড়ালো বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। সেই জোটের মুখ কে, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। 26 জন নেতা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়, তাহলে দেশ কি করে সুরক্ষিত থাকবে! তাই দেশ শক্তিশালী মুখ চায়, দেশের শক্তিশালী নেতা প্রয়োজন। আর সেটা নরেন্দ্র মোদী। তাই এবারে বিজেপি এত বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে যে, সেটা দেখে আতঙ্কেই মুখ লুকানোর জায়গা পাবে না বিরোধীরা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সামনে ভোট। হাতে আর কয়েক মাস। আর এই সময় দাঁড়িয়ে যার দল এত বড় লড়াইয়ে নামতে চলেছে, সেই দলের নেতা হয়ে এত কনফিডেন্স বক্তব্য অন্য কেউ রাখতে না পারলেও, নরেন্দ্র মোদী পারেন। তিনি দেখিয়ে দিলেন। কারণ তার বিশ্বাস আছে, তিনি যে কাজ করেছেন, তাতে মানুষ খুশি। আর খুশি হবেন নাই কেন? মানুষের মধ্যে একটা বিশ্বাস স্থাপন করা সম্ভব হয়ে গিয়েছে যে, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিলে তারা রক্ষা করতে জানে। এমনকি বিজেপি এই রাষ্ট্রকে ভালবাসি। তাই নিজেদের রাষ্ট্রের উন্নতির কথা ভেবে, দেশের হিতের জন্য আবার মানুষ বেছে নিতে চলেছে সেই বিজেপিকেই। নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের পর আজ রীতিমতো দিশেহারা হয়ে কম্পন তৈরি হয়েছে বিরোধী শিবিরের মধ্যে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!