এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সমানাধিকারের দাবিতে কোর্টে শিক্ষকরা! চরম অস্বস্তি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে! জানুন বিস্তারিত

সমানাধিকারের দাবিতে কোর্টে শিক্ষকরা! চরম অস্বস্তি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন কান পাতলে বলিউডের শোনা যেত লিঙ্গ ভেদে পারিশ্রমিক ভেদের অভিযোগ। আর সেই দলে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াত থেকে শুরু করে দিপিকা পাদুকোণের মত হেভিওয়েট অভিনেত্রীদের। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে সমানাধিকারের সেই একই দাবিতে অভিযোগ এনেছেন দুজন শিক্ষক। তবে এক্ষেত্রে লিঙ্গভেদের অভিযোগ নয়, অভিযোগ হচ্ছে সমাজের সমান বেতনের অধিকারের। আর তাতেই রাজ্য সরকার বেশ সমস্যায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যাপারটা হল, বর্ধমান জেলার খানদ্রা হাইস্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষক অনির্বাণ ঘোষ এবং ওই জেলারই বিটরা হাইস্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষক বরুণকুমার ঘোষের আইনজীবী যথাক্রমে লক্ষ্মীকুমার গুপ্ত এবং সৌমেনকুমার দত্ত ও সৌরভ দত্তের কাছ থেকে জানা যায়, যে সমকাজে সমবেতন এর দাবিতে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই দুই স্কুলের দুই আংশিক সময়ের শিক্ষক। যার ফলাফলস্বরূপ ২০১৯ সালে ‘সমকাজে সমবেতন’ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তবে সেই নির্দেশকে না মেনে উল্টে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই আপিলের ভিত্তিতে বিচারপতির সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের সিদ্ধান্তে জানায় যে, দেশ বা রাষ্ট্র তখনই উন্নতি করতে পারে, যখন তার নাগরিকেরা শিক্ষিত হতে পারেন। তাই শিক্ষকদের মর্যাদা অনেকখানি। আর যে-সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা থাকে না, তাকে অসাম্যের শিকার হতে হয়। তাই আংশিক সময়ের শিক্ষক হোন বা চুক্তিতে নিযুক্ত শিক্ষক, তাঁরা সকলেই কিন্তু এক কথায় শিক্ষকই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই কোনও আংশিক সময়ের শিক্ষককে যে-ভাবেই নিযুক্ত করা হোক না কেন, তিনি যদি স্থায়ী পদে নিযুক্ত শিক্ষকদের মতো একই ধরনের দায়িত্ব নেন বা কাজ করেন, তা হলে তিনি স্থায়ী পদে নিযুক্ত শিক্ষকদের মতো ন্যূনতম মূল বেতন পাবেন না কেন? তাই এই রায়ের ফলে রাজ্যের বাকি আংশিক সময়ের শিক্ষকদের মূল বেতনও স্থায়ী শিক্ষকদের সমান হতে চলেছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই আংশিক সময়ের শিক্ষকের বকেয়া অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার রায় জানিয়েছে আদালত। ফলত রাজ্য সরকারকে স্থায়ী পদের শিক্ষকদের মতোই বর্ধমানের আংশিক সময়ের ওই দুই শিক্ষককে ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ‘বেসিক পে’ বা মূল বেতন দিতে হবে বলে জানিয়েছে কোর্ট। এছাড়া মূল বেতনের যাবতীয় বকেয়াও চার সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে বলেই হাইকোর্টের নির্দেশ জানা যায়।

যদিও রাজ্যের তরফে পাল্টা যুক্তি দেখানো হয়েছিল যে ওই দুই শিক্ষকের নিয়োগ স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র মাধ্যমে হয়নি। তাই তাঁরা সমান বেতনের দাবি জানাতে পারেন না। তাই তাঁদের সমবেতন দিতে বললে রাজ্যের আর্থিক ক্ষমতাও বিবেচনা করে দেখতে হবে। তবে জানা যায়, ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই আবেদন মানতে চাননি। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওই দু’জন ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষকতা করলে স্থায়ী শিক্ষকদের মতো যাতে আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা পান, রাজ্য সরকারকে কিন্তু সেই দিকটাও বিবেচনা করা দরকার। তাই ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর এবং ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত আংশিক সময়ের ওই দুই শিক্ষক তাঁদের ১৭ বছরের কাজ করার সমস্ত নথিপত্র-সহ আবেদন (ই-মেল মারফত) জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবের কাছে। তবেই তাদের বেতন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে দেবে রাজ্য সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!