এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ধর্নার নামে তৃনমূলের দাদাগিরি, তবুও নীরব রাজ্যপাল! শুভেন্দুর স্টেপে খুশি বিরোধীরা

ধর্নার নামে তৃনমূলের দাদাগিরি, তবুও নীরব রাজ্যপাল! শুভেন্দুর স্টেপে খুশি বিরোধীরা


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজভবনের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেখানে 144 ধারা জারি থাকে, সেখানে মঞ্চ করে ধর্না করছেন তৃণমূলের যুবরাজ। কিন্তু তারপরেও রাজ্যপালের পক্ষ থেকে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টে যুবরাজ বলছেন, যতক্ষণ না রাজ্যপাল তার সঙ্গে দেখা করবেন, ততক্ষণ নাকি তিনি এখানেই বসে থাকবেন। কিন্তু তৃণমূল না হয় তাদের জেদ দেখাতে পারে। কিন্তু রাজ্যপাল কেন তার জেদ দেখাচ্ছেন না? কেন তার ভবনের অদূরেই যেখানে 144 ধারা জারি থাকে, সেখানে তৃণমূল এই ধর্না করলেও তাকে উঠিয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা বা নির্দেশ দিচ্ছেন না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান? তবে রাজ্যপাল যদি এভাবেই নীরব থাকেন এবং তৃণমূলকে কিছুই না বলেন, তাহলে চুপ করে বসে থাকবে না রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। এবার সেই ব্যাপারে রাজ্যপালকে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় সময় বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের এই ধর্ণা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল কেন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? রাজ্যপাল যদি সোমবারের মধ্যে এই ধর্না উঠিয়ে দিতে কোনো নির্দেশ বা পদক্ষেপ না নেন, তাহলে আমি বিজেপির সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে রাজভবন অভিযান করব।” অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একদম ঠিক কথা বলেছেন। তৃণমূল বলে, তারা আইনের রক্ষক। তাহলে এটা কিরকম আইনের রক্ষার কাজ! যেখানে তারা রাজভবনের অধীনেই বসে ধর্না করছে, আর রাজ্যপাল মুখে আঙুল দিয়ে বসে রয়েছেন। তিনি কোনো কড়া স্টেপ নিতে পারছেন না। ফলে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন, তা এবার তার প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত রাজভবন এবং রাজ্যের শাসক দলকে। স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত, তৃণমূল আইন ভাঙলে ছেড়ে কথা বলবে না ভারতীয় জনতা পার্টি।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের সভা করতে দেওয়া হয় না। তখন কি এই রাজ্যপালের তা চোখে পড়ে না? তাহলে এখন তার ভবনের সামনে আইন ভেঙে তৃণমূল যে কর্মসূচি করছে, তাকে সরিয়ে দিতে কেন রাজ্যপাল পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? তিনি কি চাইছেন যে, রাজ্যের গণতন্ত্র আরও ধ্বংসের মুখে চলে যাক! শুধুমাত্র তিনি রাজ্যপালের চেয়ারে বসে থাকবেন, আর রাজ্য উচ্ছন্নে যাবে, তৃণমূল যা খুশি তাই করবে। আর তিনি আঙুল চুষবেন, এটা অন্তত বর্তমান বিরোধী দল বিজেপি মেনে নেবে না। কারণ বিজেপি সেটিং করা বিরোধী দল নয়। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় চলে না। তাই শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন, তা ঠিক বলেছেন। রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে তৃণমূলের এই অসভ্যতা বন্ধ করতে এবার রাজ্যপাল যদি পদক্ষেপ না নেন তাহলে সেখানে রাজ্যপালকেও টাইট দেবেন শুভেন্দুবাবু। আর তখন রাজ্যপাল বুঝবেন, তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে মস্ত বড় ভুল করেছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে যে ঘোষণা তিনি করেছেন, তা এবার বাস্তবের মাটিতে প্রয়োগ করা উচিত। রাজ্যের মানুষও তৃণমূলের এই ধর্না নাটক দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন‌। রাস্তা জ্যাম করে রাজভবনের অদূরে এই মঞ্চ করা কি শাসকদলের পক্ষে সাজে? আর রাজ্যপাল কিছু করলে এত দিনের মধ্যে করে ফেলতেন। কিন্তু তেমন কিছুই তিনি করেননি। দুই একটা বিবৃতি দিয়ে দায় সেরেছেন। তবে এবার সেই রাজ্যপালকে দিয়ে কিভাবে কাজ করিয়ে নিতে হয়, তা শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো মতই জানেন। তাই রাজভবন অভিযানের কথা বলে তিনি কার্যত মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!