এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালকে অপমান করতে ভয়ঙ্কর চেষ্টা মমতার? সামনে দাঁড়িয়ে ক্যালাস পুলিশ! সোচ্চার শুভেন্দু!

রাজ্যপালকে অপমান করতে ভয়ঙ্কর চেষ্টা মমতার? সামনে দাঁড়িয়ে ক্যালাস পুলিশ! সোচ্চার শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যপালকে কথায় কথায় অপমান করতে বাকি রাখেননি তৃণমূলের নেতারা। রাজভবনের সামনে ধরনা কর্মসূচি থেকেও প্রতিমুহূর্তে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করছেন তৃণমূলের যুবরাজ। আর সেই রাজ্যপাল যখন উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন, তখন তাকে সেখানেও কালো পতাকা দেখাতে ব্যস্ত তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা। কিন্তু একজন সাংবিধানিক প্রধান, যার উচ্চ নিরাপত্তা রয়েছে তার গাড়ির সামনে এইরকম অসভ্যতা করা হচ্ছে। অথচ পুলিশ সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরঞ্চ বিক্ষোভকারীদের হালকা ভাবেই সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। যা দেখে অনেকে বলছেন, পুলিশের মেরুদন্ড কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে এই রাজ্য সরকার। বিরোধীদের নিরাপত্তাটুকু তো দূরের কথা, এবার রাজ্যপালকেও হেনস্থা করছে তৃনমূল বাহিনী। কিন্তু তারপরেও যে নির্লজ্জতা দেখালো পুলিশ, তা নিয়ে সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেখানেও তৃনমূলের একটা অংশ রাজ্যপালের কনভয়কে উদ্দেশ্য করে চরম অসভ্যতা শুরু করে বলে অভিযোগ। কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া থেকে কিছুই তারা বাকি রাখেনি। কিন্তু যখন তৃনমূল এই ধরনের কাজ করছে, তখন পুলিশের সেভাবে কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না। আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, যদি বিরোধীদের কোনো প্রতিবাদ হয়, তাহলে তো পুলিশ লাঠি চালাতে বাকি রাখে না। সেখানে রাজ্যপালের মত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ, তাকে অসম্মান করছে একাংশ! কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশের এই গা ঢিলেমি মনোভাব? যেখানে গোটা ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

বিরোধীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী একদম যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন। এই রাজ্যের পুলিশ বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা শুধু তৃণমূলের জন্য, তৃণমূল ছাড়া তারা কারওর জন্য নয়। কিন্তু বিরোধীরা এই রাজ্যে পুলিশের নিরাপত্তা চায় না। কারণ তারা জানে যে, এই পুলিশের ওপর ভরসা করা যায় না। কিন্তু রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, তার সঙ্গে যে অসভ্যতা চলছে, সেখানে তো পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমন করবে। কিন্তু সেখানেও পুলিশের যে মনোভাব দেখা গেল, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসনের দলদাস হয়ে গিয়েছে। আর রাজ্যপালকে চরম অপমান করলেও তারা এভাবেই মুখে আঙুল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু আইন ভেঙে যারা সাংবিধানিক প্রধানকে অপমান করছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে না বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যে প্রশাসন রয়েছে, এটা আজকে আর কেউ মনে করে না। পশ্চিমবঙ্গে এখন শাসকের আইন চলছে। আইনের শাসনকে কবেই হত্যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন। তৃণমূল যা বলবে, সেটাই এই রাজ্যে ঠিক। তারা যেভাবে আইন ভাঙার কাজ করবে, সেটাই প্রশ্রয় দিয়ে যাবে প্রশাসন। তাই বিরোধীরা এই প্রশাসনের ওপর ভরসা করা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক প্রধানও এই রাজ্যে নিরাপদ নন। তাকে বিক্ষোভ দেখানো হলেও, তার বিরুদ্ধে কুকথা বললেও, গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হলেও, সেখানে প্রশাসন কিছু করতে পারে না। আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ক্যালাসনেস ভাব এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ্যে চলে এলো। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!