প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ভারতের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ থাকা ব্যক্তিদের টাইট দিতে শুরু করেছে জাতীয় প্রশাসন। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলা যেন পাকিস্তানের জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। এতদিন তেমনটাই অভিযোগ ছিলো বিরোধীদের। আর এবার একের পর এক তথ্য সামনে আসার পর সেই প্রশ্নটাই জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে সকলের সামনে।

বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগে কেরল থেকে আনসারুল বাংলা টিমের জঙ্গি শাদ রাডি গ্রেপ্তার হয়। জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদে থাকতেন। শুধু তাই নয়, তিনি এখানকার দুটি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দুটি ভোটার কার্ড পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছিলেন। একইভাবে পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় পাকিস্তানের নাগরিক আজাদ মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। পরবর্তীতে সেই ধৃত ব্যক্তির কাছে এই রাজ্যের দুটি এলাকা অর্থাৎ মধ্যমগ্রাম এবং নৈহাটির দুটি ভোটার কার্ড রয়েছে বলে জানানো হয়।

শুধু তাই নয়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কর্ণাটক থেকে বাংলাদেশের ৬ জন নাগরিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। আর তাদের কাছ থেকেও বাংলার ঠিকানায় তৈরি জাল ভোটার কার্ড উদ্ধার করা হয়। যে জাল ভোটার কার্ডের সাহায্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অনেক গোপন তথ্য বাইরে পাচার করা হয়নি তো, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে প্রধান প্রশ্ন, পুলিশ প্রশাসন কি করছিল? জাল ভোটার কার্ড রাজ্যে তৈরি করে তার বিস্তার লাভের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা কি পুলিশ প্রশাসন জানতো না? যে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ইন্টেলিজেন্স এতটা শক্তিশালী বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও কেন পুলিশের কাছে আগেভাগে খবর ছিল না? কেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার বহু পরে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে! তাহলে যা ক্ষতি হওয়ার, তা তো করে দিচ্ছে জঙ্গিরা! ফলে যতদিন যাচ্ছে, ততই বাংলার নিরাপত্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের গা ঢিলেমি মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।