হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত কোর্টের কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য June 21, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব বিরোধী দল বিজেপি। একইভাবে সরব হয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। রাজ্য সরকারকে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আক্রান্তদের বাড়ি ফেরানোর, কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উঠছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। আর সে কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নেওয়া হলো চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু হাইকোর্টের তরফ থেকে সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্ট পূর্ববর্তী নির্দেশ বহাল রাখল। প্রসঙ্গত, গত 18 জুন কলকাতা হাইকোর্ট ভোট-পরবর্তী হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে এবং তারপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। এবং সেই কমিটি যাতে আগামী 30 দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয় কলকাতা হাইকোর্টে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই স্থগিতাদেশ চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তাঁরা হাইকোর্টের কাছে আরেকবার সুযোগ চেয়েছিল কিন্তু হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে সুযোগ দিতে নারাজ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার রাজ্যের নিষ্ক্রিয় অবস্থা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বেও কমিটি তৈরি করা হয়েছিল বলে জানান তাঁরা। কিন্তু তার পরেও রাজনৈতিক হিংসা আক্রান্তদের ঘরে ফেরা হয়নি। এমনকি সেই সংক্রান্ত কোন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়নি বলে পাল্টা জানিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা। রাজ্য সরকারের এই উদাসীনতায় চরম ক্ষুব্ধ উচ্চ আদালত। সেক্ষেত্রে এবার বাধ্য হয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তাঁদের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সাক্ষাতে ব্যাপক বিরোধিতা করা হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যপালকে সরানোর আবেদন জানান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবার কার্যত রাজ্য সরকার বড়োসড়ো চাপের মুখে পড়তে চলেছে। সেক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হাইকোর্টের কাছে কি রিপোর্ট জমা দেয় সেটাই দেখার। কারণ মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠবে। আপনার মতামত জানান -