প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট কসবা ল কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডের পর যে বড় নির্দেশ দিলো, তা ঘিরে রীতিমত ঘুম উড়তে বাধ্য বর্তমানে কলেজকে নিজেদের আঁতুড়ঘর ভাবা তৃণমূলী দাদাদের। এতদিন বিরোধী থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিবাদী মানুষ এবং শিক্ষানুরাগী জনসাধারণ প্রত্যেকেই দাবি করেছেন যে, কলেজে কলেজে নির্বাচন না হওয়া সত্ত্বেও ইউনিয়ন রুম দখল করে রয়েছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের দাদারা। আর সেই ইউনিয়ন রুমেই হয় যাবতীয় অবৈধ কাজ। বিরোধীদের সেই অভিযোগকে শাসক দল পাত্তা দেয়নি। এমনকি বছরের পর বছর ধরে কেন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, তা নিয়েও লাগাতার প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্য জুড়ে। তবে কসবার ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার পরেই সকলের চোখ খুলে গিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দিন কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে যেমন রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলো, ঠিক তেমনই কলেজে কলেজে ইউনিয়ন রুম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলো আদালত।

জানা গিয়েছে, কলেজে কলেজে ছাত্র ভোট নিয়ে এবং নির্বাচনের দাবিতে এর আগেই আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে আজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের ভাবনা কি, তা নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি কোনোরকম ভোট না হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে কলেজের ইউনিয়ন রুম আড্ডার জায়গা হয়ে গিয়েছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দাদাদের বলেই অভিযোগ করে বিরোধীরা। তাই কসবার ঘটনার পর কলেজের সমস্ত ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই ইউনিয়ন রুম খোলা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

এদিকে আদালতের এই নির্দেশকেই স্বাগত জানাচ্ছে বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, এতদিন কলেজে কলেজে অবৈধ কাজকর্ম চালাতেন তৃণমূলের দাদারা। কসবার ঘটনার পর প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, কলেজের ইউনিয়ন রুম তৃণমূলীদের সাম্রাজ্যে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। তাই কলকাতা হাইকোর্টের যে পদক্ষেপ, তা অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য। আগামী দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। আদালত ইউনিয়ন রুম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে তৃণমূলের চুনোপুটি দাদাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। তবে একদিকে ইউনিয়ন রুম বন্ধ করার নির্দেশ এবং অন্যদিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর ব্যাপারে রাজ্যের কাছে যেভাবে জানতে চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে রাজ্য এই নির্বাচন করানোর ব্যাপারে আদালতকে কি বলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।