প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে যেমনটা জল্পনা ছিল, ঠিক তাতেই সীলমোহর পড়লো। গতকালই খবরটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু প্রথা অনুযায়ী, বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র নাম ঘোষণারই অপেক্ষা ছিল। অবশেষে আজ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক রবিশংকর প্রসাদের উপস্থিতিতে ঘোষণা হয়ে গেল বাংলার নয়া বিজেপি সভাপতির নাম। আর কলকাতার সায়েন্স সিটিতে নয়া বিজেপি সভাপতিকে সংবর্ধনা জানাতে ছিল জমকালো আয়োজন।
বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে যে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে পরিবর্তন হতে পারে। কেননা সুকান্ত মজুমদার, যিনি রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তিনি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই ২০২৬ এর নির্বাচন তার নেতৃত্বে আদৌ কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়েই একটা প্রশ্ন ছিল। অবশেষে গতকাল মনোনয়ন পত্র পেশ হয়। যেখানে শুধুমাত্র শমীক ভট্টাচার্যই মনোনয়ন জমা দেন। আর তার সঙ্গে কারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকার কারণে তিনিই যে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন, সেই ব্যাপারে গতকালই পাকাপাকি খবর চলে এসেছিল। অবশেষে আজ তার নাম ঘোষণা করে বাংলা জয়ের জন্য তাকেই ক্যাপ্টেন করে দিলো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণ আগেই সায়েন্স সিটিতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি জমকালো সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক রবিশংকর প্রসাদ, বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব এবং কর্মীরা। আর সেখানেই নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রবিশংকর প্রসাদ। দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে যুক্ত এবং সুবক্তা বলে পরিচিত এই শমীকবাবু বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। সুকান্তবাবুর জায়গায় তাকে বসিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে মান্যতা দেওয়ার পাশাপাশি তার নেতৃত্বেই যে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তা স্পষ্ট করে দিলো গেরুয়া শিবির। তবে এখন দেখার বিষয়, বঙ্গ বিজেপি এই নয়া ক্যাপ্টেন পাওয়ার পর তাদের গতি কতটা মসৃণ হয়! ২০২৬ এর নির্বাচনে বিজেপি তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে শমীকবাবুর নেতৃত্বে পৌঁছতে সক্ষম হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।