অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে আসছেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা-দাবি সভাপতির জাতীয় পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য June 28, 2018 নির্ধারিত প্ল্যান মাফিক দুদিনের বঙ্গ সফরে রাজ্যে এসে পৌছেছেন জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এবার তাঁর বঙ্গসফরের সবথেকে চর্চিত বিষয় হল পুরুলিয়ায় জনসভা। জেলা বিজেপির নেতৃত্ব সহ রাজ্য স্তরের বিজেপি আধিকারিকরা তো থাকবেনই এই জনসভায়,এমনকি তৃণমূলেরও কয়েকজন বাঘা বাঘা নেতৃত্ব যোগ দেবার খবর পাওয়া গেছে রাজনৈতিক সূ্ত্র থেকে। আর এ খবর প্রকাশ্যে আসায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল শিবির। রীতিমতো গোয়েন্দাগিরিও ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে তাঁরা দলীয় অন্দরে। এমনটাই জানালেন এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। এছাড়া আরো জানালেন যে, জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতারাই নিজেদের দলের প্রতি অসন্তুষ্ট। তাই ওঁরা বিজেপিতে আসতে চান। পুরুলিয়ার জনসভায় আজই হয়তো মঞ্চে উপস্থিত অমিতজির হাত থেকেই গেরুয়া পতাকা তুলে নেবেন তাঁরা! এছাড়া তিনি জানালেন যে তিন লাখ মানুষ জমায়েত করার কর্মসূচি তাদের জনসভায়। পুরুলিয়ার মাটিতে জাতীয় বিজেপি নেতৃত্ব বক্তব্য রাখবেন। তাঁর সামনে জেলার বিজেপি ঘাঁটির জনসমর্থন দেখাতে আগে থেকে প্রস্তুতি পর্ব সেরে রেখেছেন জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা। এছাঁড়া তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও মন্তব্য করলেন এদিন। জানালেন যে পুরুলিয়ায় শুধু বিজেপির হুকুম চলবে। পুলিশ কিছু করতে পারবে না। পুরুলিয়ার মাটিতে অমিত শাহের জনসভায় তিন লাখ মানুষ জমায়েত হবেই। বাইরে থেকে লোক আসলেও তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। তবে কোনো অশান্তি হলে প্রশাসন দায়ী থাকবে,জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা নয়। এর পাশাপাশি তিনি সদর্পে এটাও ঘোষণা করেন যে জনসভায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নজিরবিহীন ভীড়ের দেখা মিলতে চলেছে। আর এতেই তৃণমূলের রক্তচাপ বাড়ছে। তারা ক্রমাগত চেষ্টা করেই চলেছে সভা নষ্ট করার। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। আর এখানেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন জেলা তৃণমূল কর্তারা। তৃণমূল তরফের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো জবাবে জানাচ্ছেন যে বিজেপির সভা তাঁদের কাছে গুরুত্বহীন। সাথে সাথে এটাও অভিযোগে জানান যে বিজপি নাকি জনসভার নাম করে ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতি এনে গন্ডোগোল পাকানোর ফিরিক খুঁজছে। তাই তো পুলিশ দুদিন ধরে জেলার কোনায় কোনায় চেকিং করছে। এ প্রসঙ্গে পাল্টা তোপ দাগেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর বাবুও। প্রশ্ন তুলে তিনি জানান যে তৃণমূল যদি বিজেপির জনসভাকে গুরুত্বই না দেবে তবে পুলিশি সাহায্য নিয়ে সভা ভন্ডুল করতে চাওয়ার মানে কী? তবে, অমিত শাহের জনসভার ঠিক দুদিন পরে একই ময়দানে অর্থাৎ শিমুলিয়ার মাঠেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা জনসভা করার ছক কষেছে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা শুভেন্দু অধিকারী,ফিরহাদ হাকিম,সুকুমার হাঁসদার মতো তৃণমূলের দাপুটে নেতারা। তবে বিজেপির থেকে বেশি জনসমর্থন দেখাতে নয়,বিজেপির কুৎসা,অপপ্রচারের সঠিক জবাব দিতেই জনসভা করার পরিকল্পনা তাঁদের। আপাতত পুরুলিয়া রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর চলছে এই দুই বিরোধী গোষ্টীর ক্ষমতা প্রদর্শনের জেরে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -