এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “টাকা চান কোন মুখে!” মমতাকে বিস্ফোরক প্রশ্ন দিলীপের!

“টাকা চান কোন মুখে!” মমতাকে বিস্ফোরক প্রশ্ন দিলীপের!

 

কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈরীতার কথা কারোরই অজানা নয়। ইতিমধ্যেই একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ইস্যু শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়। কেন্দ্রের অনেক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পথে নেমে নিজেকে কেন্দ্র বিরোধিতার মুখ হিসেবে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল নেত্রী এত বিরোধিতা করলেও, অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তবে বিরোধিতা করে সেই বৈঠকে না গিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও খারাপ করে দিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান বলে অভিযোগ একাংশের।

কিন্তু এবার সম্প্রতি রাজ্যের পাওনা অর্থ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন পর কেন্দ্রকে চিঠি লেখায়, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, এদিন কলকাতার এক প্রেক্ষাগৃহে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বাজেট নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে লেখা এই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “উনি টাকা চান কোন মুখে! দিল্লির সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে যে টাকা দেয়, তার কোনো হিসেবই পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেয় না। প্রধানমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রের তরফে ডাকা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত হন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কোনো প্রতিনিধি কিংবা চিঠি পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সাড়া হয়! এখন উনি টাকা চাইছেন কোন মুখে!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন কেন্দ্র বিরোধিতা করলেও, সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের পাওনা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাতে চেয়েছিলেন, কেন্দ্র-রাজ্যকে অর্থ দেয় কিনা! অর্থাৎ কেন্দ্র যদি রাজ্যকে টাকা না দেয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিকটি তুলে ধরে পৌরসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলবেন বলে মনে করেছিল একাংশ।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে সেই সুযোগ নিতে না পারেন, তার জন্য অতীতে কেন্দ্রের ডাকা কোনো বৈঠকে তিনি যান না বলে কেন্দ্রের পতি রাজ্যের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তার কথা তুলে ধরে পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে দুই দলের দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর তরজা যে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। ফলে জনসাধারণের ভোটে জেতা নেতানেত্রীরা এখন সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আদৌ কোনো পদক্ষেপ নেন, নাকি নিজেদের মধ্যে তরজাকেই বাড়িয়ে তোলেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!