প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশিতে ভরে গিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক কারা এবং তারা যে বেআইনিভাবে বাংলার অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে, সেই ব্যাপারে অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, ওপার বাংলা থেকে যারা ধর্মীয় কারণে এপারে আসছেন, তারা শরণার্থী। কিন্তু রোহিঙ্গা হিসেবে যারা আসছেন, তারা মমতা ব্যানার্জির ভোটব্যাঙ্ক।
বলা বাহুল্য, সম্প্রতি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে একাধিক দাবি-দাওয়া জানান তারা। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেআইনি ভোট ব্যাংকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “যারা ওপার থেকে ধর্মীয় কারণে এপারে আসছেন, তারা শরনার্থী। তাদের পাশে নরেন্দ্র মোদী আছে, বিজেপি আছে। কিন্তু যারা রোহিঙ্গা হিসেবে এপারে আসছেন, তারা আমাদের অধিকার, আমাদের জমিতে ভাগ বসাচ্ছে। এদেরকে আপনি এক কোটি করে টাকা দিলেও, এরা ওদের খালা, ওদের বুবু তাকেই ভোট দেবে।”
বিজেপির দাবি, রোহিঙ্গা এবং অবৈধ বাংলাদেশিতে ভরে গিয়েছে গোটা রাজ্য। তাদেরকেই ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2026 এর ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। তাহলেই আগামী নির্বাচনে এদের ভোট পাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে তৃণমূলের আর ক্ষমতায় থাকা হবে না বলেই দাবি করছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী একদম সঠিক জায়গাটাতেই ধরেছেন। ওপার থেকে যারা রোহিঙ্গা হিসেবে, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বাংলায় আসছেন, তাদেরকেই ভোটব্যাংকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু মানুষ। তাই এই প্রবণতা বন্ধ করতে পারলেই তৃণমূলের চাপ অনেকটা বেড়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে যেমন সীমান্তে নজরদারি প্রয়োজন, ঠিক তেমনই এই রোহিঙ্গাদের বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন কমিশনের। আর সেই কথা তুলে ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেআইনি ভোটব্যাঙ্ক বাংলার অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে বলে তৃণমূলকে চরম ধাক্কা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।