প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২০২৬ এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর আতঙ্ক যেন আরও বেশি করে গ্রাস করছে তৃণমূলের মধ্যে। সম্প্রতি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদ জেলার অনেক বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গোপনে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। আর তার সেই বক্তব্য নিয়েই রীতিমত আলোড়ন পরে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার হুমায়ুন কবীরকেই পাল্টা খোঁচা দিলেন তৃণমূলেরই আর এক বিধায়ক।
বলা বাহুল্য, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে রীতিমত বোমা ফাটান ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “কার সঙ্গে কার কথা হচ্ছে, যারা নেতা হয়ে বসে রয়েছে এই জেলার, তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন। দিনের বেলায় সারাদিন তৃণমূলের বড় বড় পদ নিয়ে বসে রয়েছেন, তারা কেন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে ভেট পাঠান? এই জেলার কত জন এমএলএর সঙ্গে শুভেন্দুর কত রকম যোগাযোগ রয়েছে, অনুসন্ধান করে দেখুন।”
অন্যদিকে হুমায়ুন বাবুর এই মন্তব্যের পরেই তাকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলারই আর এক তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী। কারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, সেই নাম প্রকাশ্যে আনা উচিত বলেই দাবি করেছেন তিনি। এদিন এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “কার সঙ্গে কি যোগাযোগ রয়েছে, তা তো আমরা জানি না। আর যদি থাকে, তাদের নামগুলো বলা উচিত বলে আমি মনে করি। কারা কারা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, তা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
আর তৃণমূলের এই কচকচানির মধ্যেই এবার বিজেপির পক্ষ থেকে ধেয়ে এসেছে আরও বড় ভয়ঙ্কর মন্তব্য। হুমায়ুনবাবু নিজেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না তো, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। তিনি বলেন, “হুমায়ুন বাবু নিজেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না তো? হুমায়ুন তো অনেক কিছুই আশা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। কিছুই তো পাননি। ওনার বর্তমান অবস্থা খুব খারাপ। না সভাপতি হতে পারলেন, না চেয়ারম্যান হতে পারলেন। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান করে রেখে দেওয়া হয়েছে। তাই মাঝে মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষোদগার করতে শুরু করেছেন।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের কারা যোগাযোগ রাখছেন, তা তো সময় বলবে। কিন্তু হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যের পর তৃণমূলের মধ্যেই যে গোপনে গোপনে তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তৃণমূলের বিধায়ক যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন বলে মন্তব্য করেছেন, তাতে যে চিন্তা বাড়ছে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও, তিনিও যে 2026 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তার দলকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন এবং সেই আতঙ্ক যত দিন যাবে, ততই যে বাড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।