প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দিয়েছে ভারত। অন্যান্য রাজ্যের মতই সম্প্রতি বাংলায় এসে সেই অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে একটি প্রশাসনিক সভায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার পাল্টা নবান্ন থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রবল সমালোচনা হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই ধরনের কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতারা।
এমনকি রাজ্যবাসীও মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে খুব একটা ভালো চোখে নেননি। দেশ যখন অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে জবাব দিচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীর তরফে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই আওয়াজ উঠছিল রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে। তবে এবার নরেন্দ্র মোদীকে এমন কুরুচিকর আক্রমণের জন্য কি আরও বড় বিপাকের পড়তে চলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
গতকাল বিজেপি কর্মীদের নিয়ে ইন্ডোরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য নিয়েই সোচ্চার হন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা অপারেশন সিঁদুর করে পাকিস্তানকে যেভাবে নরেন্দ্র মোদী জবাব দিয়েছেন, তা তিনি ঠিক করেছেন, তা নিয়ে জনতার কাছেই জানতে চান তিনি। আর সাথে সাথেই উচ্ছ্বসিত বিজেপি কর্মীরা জানিয়ে দেন যে, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে তারা গর্বিত। আর এরপরেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যে সমস্ত ভাষা প্রয়োগ করে আক্রমণ করেছেন, তার পাল্টা অমিত শাহ বলেন, “এতে দিদির পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। বাংলার লোকেরা যখন সেখানে মারা গেলেন, তখন দিদি এই যন্ত্রণার কথা বললে ঠিক ছিল। তখন কিছু বলেননি। এখন মোদীজি যখন অপারেশন সিঁদুরের পরে এখানে এলেন, তখন একটি বাজে রাজনৈতিক মন্তব্য করে অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করা হলো। আপনি অপারেশন সিঁদুরের বিরোধীতা করেননি। আপনি দেশের কোটি কোটি মা, বোনের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করেছেন।”
বিজেপির দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিষ্টাচার বলতে কি কিছু জানেন না। কখন কোথায় কি বলতে হয়, তা হয়ত তার রাজনৈতিক শিক্ষায় নেই। আর সেই কারণেই অপারেশন সিঁদুরের মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে তিনি শুধু নরেন্দ্র মোদীকেই অপমান করেননি। তিনি বাংলার তথা দেশের মা-বোনেদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। এবার শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ধরনের কুরুচিকর আক্রমণের জন্য মহিলাদের প্রতিবাদ শুরু হবে। আর তাতেই তিনি চরম শিক্ষা পাবেন বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ভারত। অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে তারা পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে। সেখানে সেই অপারেশন সিদুরের প্রশংসা না করে উল্টে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যেভাবে নরেন্দ্র মোদিকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। কেউ তার কাছ থেকে এই সময়ে এই ধরনের কমেন্ট আশা করেনি। তাই তার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ যেমন গর্জে উঠছে, ঠিক তেমনই দেশের মহিলারাও গোটা বিষয়কে মেনে নিতে পারছেন না। তাই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই লক্ষীর ভান্ডার দিয়ে মহিলাদের ভোটে নেওয়ার যতই চেষ্টা হোক না কেন, অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে গোটা দেশজুড়ে বিদ্রোহ শুরু হলে চরম বিপদের মুখে পড়তে বাধ্য তৃণমূল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।