প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে রাজ্যবাসী প্রস্তুত আছে, ২৬ এর নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য। কিন্তু বিজেপি কি প্রস্তুত আছে? বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি আদৌ চায়, বাংলায় পরিবর্তন হোক! নাকি তলায় তলায় তারা সেটিং রেখেছে তৃণমূলের সঙ্গে? এই প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যবাসীর একাংশের মধ্যে ছিল। কিন্তু গতকাল অমিত শাহ রাজ্যে এসে তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে যে বক্তব্য রাখলেন, তাতেই এটা স্পষ্ট যে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবার প্রচন্ডভাবে আশাবাদী বাংলার পরিবর্তন নিয়ে।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে ২৬ এর নির্বাচনের সুর বেধে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপিকে। তিনি যে উচ্চতার সঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন, তাতেই বোঝা গিয়েছিল যে, বঙ্গ বিজেপি এবার বাংলা নিয়ে কতটা ঝাপাতে চলেছে। তবে মোদীর পরেই অমিত শাহ এসে যে কড়া ডোজটা দিয়ে দিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের, তাতে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলা নিয়ে কতটা সিরিয়াস বিজেপি। বরঞ্চ এখন এটাই বলতে হবে যে, গোটা দেশের মধ্যে এখন বাংলা দখলই সবথেকে বড় পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের কাছে। কিন্তু ইন্ডোরের সভা থেকে কি বলেছেন অমিত শাহ?

গতকাল বিজেপি কর্মীদের নিয়ে সভায় অমিত শাহ বলেন, “২০১৭ সালের ভোটের পর আমরা প্রস্তুতি নিই। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আমরা সাফল্য পাই। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭ টি আসন জয়লাভ করি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ৯৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি এগিয়েছিল। আর একটু বাকি আছে। আপনারা ৪০ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছেন। আর ৪-৫ শতাংশ এগোতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমাদের সরকার গঠন হবে। ২০১৭ সালে আমি বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন বলেছিলাম, এখানে বিজেপির সরকার গঠিত হবে। আজ সেই দিন এগিয়ে এসেছে। পুরো দেশ চাইছে, এখানে দেশভক্তদের সরকার তৈরি হোক, তোষনের সরকার নয়। মমতা দিদি সোনার বাংলার স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছেন।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, অমিত শাহের এই বক্তব্যেই স্পষ্ট যে, এবার বাংলা নিয়ে আর কোনো লুকোচুরি নয়। বরঞ্চ একেবারে সামনে থেকে লড়াই করবে কেন্দ্রীয় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির যে লড়াই, তাতে সবসময় যে তারা পাশে আছে, তা গতকালের সভা থেকেই বার্তা দিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, সাধারণ মানুষ কিন্তু চাইছিলেন যে তারা প্রস্তুত আছে, কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একটু বাংলা নিয়ে বেশি করে উঠে পড়ে লাগুক। তবে নরেন্দ্র মোদীর পর অমিত শাহ গতকাল যে বার্তা দিয়ে দিলেন, তাতে একদিকে সাধারন মানুষ যেমন তৃণমূলের বিরুদ্ধে রায় দেবে, ঠিক তেমনই বিজেপির বাংলা দখলের প্রতি যে আগ্রহ, বাংলায় সুশাসন আনার যে প্রতিজ্ঞা, এই দুইয়ে দুইয়ে চার হলেই ২৬ শে তৃণমূলের কফিনে শেষ পেরেক পড়তে বাধ্য। নবান্ন থেকে বিদায় নিতে বাধ্য তৃণমূল সরকার বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।