প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে সভা করছেন, ঠিক তখনই সেই বিষয় বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কি ধরনের মন্তব্য করতে হয়, তা অন্তত একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত শিখতে পারেনি বলেই দাবি করছেন সকলে।
আর প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রুচিহীন আক্রমণ ধেয়ে আসতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন এক কথা বলে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যার ফলে আঁতকে উঠতে বাধ্য হবেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেই দাবি বিরোধীদের।বলা বাহুল্য, এদিন আলিপুরদুয়ারে একদিকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সাফল্যের জন্য প্রশাসনিক সভা এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই সভা দেখেই রীতিমত রাজনৈতিকভাবে আতঙ্কে পড়ে গিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
যার ফলে তিনি পাল্টা নবান্ন থেকে অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সিঁদুরকে সম্মান করি। মহিলারা তার স্বামীর থেকে সিঁদুর পড়েন। আপনি সেই সিদুরকে অসম্মান করছেন। আপনি সকলের স্বামী নন। নিজের স্ত্রীকে সিঁদুর পড়াচ্ছেন না কেন? অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এই কথা বলতে হচ্ছে।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই সকলের মধ্যেই প্রশ্ন ছিল যে, এটা কি একজন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা হতে পারে? তিনি আর কত নিচে নামবেন? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি দেশের আবেগকে ভুলে গেলেন কি করে? এইভাবে হাজার শত্রু হলেও কি কোন প্রতিপক্ষকে এমন রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ করা যায়?
তবে মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলার পরেই তার দিকে ধেয়ে এসেছে সতর্কবার্তা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একেবারে সদ্য প্রয়াত তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ঘোষের বইয়ের কথা তুলে ধরে সতর্ক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দুবাবু বলেন, “এই উত্তরটা দীপক ঘোষের বইতে পাবেন। উনি এইভাবে আক্রমণ করলে দীপক ঘোষের বইটা বিতরণ হবে। আমি ওনাকে সাবধান করছি। আমরা কিন্তু দীপক ঘোষের বইটা ছাপিয়ে বিতরণ করব। এই লেবেলে নামবেন না।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য সঠিক কিনা মিথ্যা, তা কেউ জানে না। তবে দীপক ঘোষ যে বই ছাপিয়ে গিয়েছেন, সেই বইতে যে সমস্ত কথা লেখা রয়েছে, তা রীতিমত মারাত্মক। তাই মুখ্যমন্ত্রী অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে যে রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তার পাল্টা সেই দীপক ঘোষের বইয়ের কথা তুলে ধরেই মুখ্যমন্ত্রীকেই রীতিমত সতর্কবাণী দিয়ে আঁতকে ওঠার মত পরিস্থিতি তৈরি করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেকে বলছেন, যেমন জবাব পাওয়া উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর, ঠিক তেমনটাই তিনি জবাব পেয়েছেন। তাই ভবিষ্যতে এই ধরনের আক্রমণ করার আগে একটু নিজেকে সামলে নেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেই মত বিরোধীদের।