এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুলদার বদনাম করে তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে! দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক অভিযোগ

মুকুলদার বদনাম করে তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে! দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা, মতান্তর, মতভেদ ও সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই গত দু মাস ধরে সংবাদমাধ্যমে বারবার একটি কথা ভেসে এসেছিল। যা ছিল বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সেইসঙ্গে বিজেপির জাতীয় কমিটির সদস্য মুকুল রায় নাকি বিজেপি ছাড়ছে চলেছেন ।

এরপর দিল্লিতে বিজেপির বিশেষ নির্বাচনী বৈঠকে মুকুল রায় দিলীপ ঘোষের পারস্পরিক মতান্তরের কথা সংবাদমাধ্যমে বারবার উঠে আসে। এমনও শোনা গিয়েছিল যে বিজেপির এই দুই মহারথীর মধ্যে সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে এই দাবিগুলি সবসময়ই ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিজেপির বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়,জে.পি. নাড্ডা, অরবিন্দ মেনন প্রমুখরা পশ্চিমবঙ্গের উপস্থিত হন, বিজেপির অন্দরের সমস্ত মতভেদকে দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে।

এরপরেই দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের মধ্যে সমস্ত ব্যবধান ঘুচে গিয়ে শোনা যায় মহামিলনের সুর। তাই এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিজেপির জাতীয় কমিটির সদস্য মুকুল রায় বিজেপি দল ছাড়তে চলেছেন কিনা? কিংবা নতুন দল গঠন করতে চলেছেন কিনা তার উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানালেন, ‘‘ মুকুলদারও বদনাম করে তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে। ’’

এই সঙ্গে আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একটি বিরাট অভিযোগ দায়ের করলেন। রাজ্য সরকারকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে তিনি জানালেন, ‘‘বিভিন্ন এজেন্সি থেকে ফোন করে আমাদের নেতা-কর্মীদের ভয় বা লোভ দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। যাঁরা রাজি হচ্ছেন না, তাঁদের ভিডিয়ো ফাঁস করে বদনাম করার চেষ্টা বা জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মিছিলে হাঁটানো হচ্ছে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত দেশের বিভিন্ন স্থানে, নিজেদের এজেন্সি নিয়োগ করে দেশে বিরোধীদের ভীতি প্রদর্শন করানোর অভিযোগ এতোকাল ধরে বিরোধীরা বারবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে করে আসছিল। এবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ দায়ের করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

তৃণমূল দলের তরফ থেকে অবশ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব ও সেইসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘এজেন্সি আর অর্থ দিয়ে রাজনীতি করতে অভ্যস্ত বলেই বিজেপি সংগঠন নিয়ে অন্য কিছু ভাবতে পারে না। ”

তৃণমূলের মহাসচিব এই প্রসঙ্গে আরও দাবি করেছেন যে, ইতিমধ্যে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তারা সকলেই বিজেপি দলের বর্তমান অবস্থা দেখে অত্যন্ত হতাশ ও মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। আর বিজেপিতে গিয়ে চূড়ান্ত মোহভঙ্গের কারণেই, আবার তারা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো দাবি করেছেন যে, রাজ্যের শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি ও রাজ্যের চিকিৎসা জগতের বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রতি যথেষ্ট আস্থাবান।

রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসনীয় উদ্যোগ লক্ষ্য করেই তারা তৃণমূলের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ” ভয় বা লোভ দেখিয়ে এ সব হয় না। এর জন্য মাটিতে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। ’’

প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কোমর বেঁধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্র হিসেবে এবার একটি হেল্পলাইন নম্বর ইমেল আইডি প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন ‘‘দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে রাজ্যের যে কেউ এই হেল্পলাইনে ফোন করতে পারবেন।’’ অবশ্য রাজ্যসরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই হেতু এ প্রকারের হেল্পলাইন নাম্বার পূর্বেও প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!