প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধের সময় থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। পরবর্তীতে দুই দেশ সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হলে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়েছে। কিন্তু দুই দেশের যুদ্ধ থামার পর থেকেই “গায়ে মানে না আপনি মোড়ল” এর মত দুই দেশের যুদ্ধ থামাতে তিনিই সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করেছেন বলে প্রথম দিন থেকে দাবি করে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে তার এই অতিসক্রিয় মনোভাব নিয়ে ভারতবাসীর মধ্যে থেকে উঠতে শুরু করেছিল প্রশ্ন। যেখানে দুই দেশ কিছু জানালো না, সেখানে ট্রাম্প আগেভাগে যুদ্ধ বিরতির কথা জানিয়ে দিয়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করছেন কেন? কেন তার বিরুদ্ধে ভারত মুখ খুলছে না! এই প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই ছিল। আর এসবের মধ্যে ফের আবারও কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে বসলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আবারও ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরতি নিয়ে মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে তিনি বলেন, “আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধ থেকে বিরত রেখেছি। আমার বিশ্বাস, যদি যুদ্ধ চলত, তাহলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত হতে পারত।” তবে এই মন্তব্য করেই থেমে থাকেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি দুই দেশের নেতাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে বারবার প্রশ্রয় দিয়েছে, সেই পাকিস্তানের নেতাদের ধন্যবাদ জানানোর পেছনে ট্রাম্পের কি উদ্দেশ্য রয়েছে, তা নিয়ে গোটা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষরাই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, বারবার করে ট্রাম্পের এই দাদাগিরি মূলক মন্তব্য সত্যিই অন্তত ভারতের সহ্য হচ্ছে না। কেননা ভারতের মানুষ খুব ভালো মতই জানেন যে, ভারত কিভাবে পাকিস্তানকে জব্দ করেছে। তারপর যুদ্ধ বিরতিতে তার কথায় দুই দেশ সম্মতি দিয়েছে বলে ট্রাম্প যে সমস্ত মন্তব্য করছেন এবং নিজেকে বিশ্বের সামনে সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন, সেটা সত্যিই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এসব করে কি আদৌ কোনো লাভ হচ্ছে ট্রাম্পের? বারবার করে এই সমস্ত কথা বলে তিনি আর কত নিজেকে উচ্চদরে বসাবেন?
অনেকে আবার বলছেন, সবসময়ই নিজে ক্রেডিট নিতে পছন্দ করছেন ট্রাম্প, তাও না হয়, মেনে নেওয়া গেল। তার কথাতেই না হয় তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া গেল যে, দুই দেশ সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু এতসবের পরেও তিনি পাকিস্তানে নেতাদের কেন ধন্যবাদ জানাচ্ছেন? যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়, তাদের ধন্যবাদ জানানো মানে তো সন্ত্রাসবাদকে আস্কারা দেওয়া? ট্রাম্প সব জেনেও কেন এই সমস্ত কান্ড কলাপ করছেন, যার ফলে বিশ্বের মানুষের কাছে তিনি হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন? প্রশ্নটা উঠছে কূটনৈতিক মহলের পক্ষ থেকেই।