এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে জমি তৈরি করতে আজ কোলকাতায় মন্ত্রীসভার বর্তমান ‘নাম্বার টু’

প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে জমি তৈরি করতে আজ কোলকাতায় মন্ত্রীসভার বর্তমান ‘নাম্বার টু’

বঙ্গ সফরে আসছেন মন্ত্রীসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এ রাজ্যে আসার আগেই বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে আরো মজবুত করতেই বঙ্গের মাটিতে আসা পীযূষ গোয়েলের। এই মুহূর্তে তিনি অর্থ-রেল-কয়লা সহ একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন। হাজার ব্যস্ততাতে উপেক্ষা করে এদিনই দলীয় সংগঠনকেই মুখ্য উদ্দেশ্য করে তাঁর বঙ্গ সফর। কিছুদিন আগেই রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে কেন্দ্র খবর গেছিল জিএসটি চালুর একবছর হয়ে গেলেও এই অন্যধরণের করের ধারণা এখনো বেশ কিছু ব্যবসায়ীর স্পষ্ট হয়নি। এই জটিলতা যাতে কোনো ভাবেই লোকসভা ভোটে নেগেটিভ প্রভাব না ফেলে সেটাই খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র বিজেপির প্রতিনিধি হয়ে আসছেন পীযূষ গোয়েল। জানা যাচ্ছে,বঙ্গের মাটি পা রেখেই অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা এই মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জিএসটি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেবেন। রাজ্য বিজেপির ট্রেডার্স সেল গোপনে যোগাযোগ রেখেছে শহরের একাধিক নামীদামী শিল্পপতিদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রীর বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্ল্যান মাফিকই আজ বিকেলে কোলকাতায় জাদুঘরের ভাষাভবণে হতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বাংলাতেই ভরসা রেখেছেন বিজেপি সরকার। তাঁদের ধারণা এবারের নির্বাচনে বঙ্গ থেকেই একটি বড় অঙ্কের ভোট পাওয়া যাবে। তাই দফায় দফায় কেন্দ্র থেকে মন্ত্রী পাচ্ছেন মোদীসরকার। কিছুদিন আগে জাতীয় বিজেপি সভাপতি খোদ অমিত শাহ দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, গতকাল ছুটির দিনেও সুরেশ প্রভু এবং অর্জুন রামমেঘাওয়ালের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্য থেকে ঘুরে গেলেন। দলের মিডিয়া সেলের সঙ্গে এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন তাঁরা। দেশের শিল্পবানিজ্য মন্ত্রী সুরেশ প্রভু মিডিয়াকে আরো সক্রিয় ভাবে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপিসরকারের পক্ষে কীভাবে ব্যবহার করা যায়,তারই সহজ পথ বাতলে দিলেন এদিন। ওদিকে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের রাষ্ট্রপতি অর্জুন রামমেঘাওয়াল নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে মিডিয়াকে কীভাবে বিজেপির স্বার্থে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ দিলেন। এছাড়া বৈঠকে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সাফ কথায় জানিয়ে দিলেন যে, ২০২১ সালের ভোটের আগে কেউ যেন দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে ভোটে না দাঁড়ান। যদি একান্তই প্রয়োজন মনে করেন তবে যেন তিনি আগেভাগেই মিডিয়ার দায়িত্ব থেকে সরে যান।

তৃণমূল সরকার যেভাবে মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী প্রচার পর্ব চালাচ্ছেন তাকে টক্কর দেওয়ার জন্যে পৃথক মিডিয়া সেল তৈরি করার নির্দেশও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফ থেকে। একইসঙ্গে এটাও জানানো হয় যে,এই নতুন কর্মসূচির দায়িত্ব নিতে হবে নতুন প্রজন্মকে। এরজন্য ৩০ বছরের কম ইচ্ছুক প্রার্থীদের বাছাই কাজটি শুরু হয়ে গেছে জেলায় জেলায়। এর পাশাপাশি, টিভির পর্দায় নানা রকম রাজনৈতিক বিতর্কে যারা অংশ নেন তাঁদের নিয়েও আলদা করে বৈঠক করা হয় এদিন। সেখানে সরাসরিই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এর জন্যে সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আগে থেকে যথাযথভাবে যেনেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!