প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল সরকারের আমলে জেলে গিয়েও আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। আপনি যত বড়ই অপরাধমূলক কাজ করুন না কেন, জেল থেকেও আপনি সেই কাজ সমানে করে যেতে পারবেন। ইতিমধ্যেই বহরমপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি থাকা মুশিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত বহুতালী গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধানের কুকীর্তির পর এমনটাই বলছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই সেই প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে কি করে তিনি ঘটিয়ে ফেললেন, তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

কি ঘটনা ঘটেছে? বলা বাহুল্য, সুতির বহুতালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল শেখ। তবে ২০২১ সালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে সেই পঞ্চায়েতের বাকি সদস্যরা অনাস্থা এনে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সুতি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেখানকার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। পরবর্তীতে তিনি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হন। কিন্তু এবার সেই আব্দুল শেখ জেল থেকেই ওয়াহিদা খাতুন এবং রিজু শেখ নামে দুজন ব্যক্তির সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা বলতেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জেল থেকে ফোন করে পঞ্চায়েতের কোথায় কি কাজ হচ্ছে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া থেকে শুরু করে টাকা পাঠানোর জন্য হুমকি পর্যন্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।

এদিকে এই ঘটনার সামনে আসার পরেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যেখানে সেই আব্দুল শেখের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন জেল সুপার। শুধু তাই নয়, তার ফোন বাজেয়াপ্ত করে তিনি কোথায় কখন ফোন করেছেন, সেই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এত পরে পুলিশের এই ঘুম ভাঙার কারণ নিয়েই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

তাদের বক্তব্য, এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে জেলেও অপরাধমূলক কাজ হয়। জেলে গিয়েও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিরা। তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান যেভাবে জেলে যাওয়ার পরেও গুন্ডামি চালিয়ে গিয়েছেন এবং এতদিন পর তার তথ্য সামনে এসেছে, তাতে স্পষ্ট এই রাজ্যের সমস্ত ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত পচন ধরেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে এখন জেলও হয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। এদিনের এই ঘটনা সামনে আসার পর তেমনটাই বলছে বিরোধী শিবির।