প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট- শিক্ষক-শিক্ষিকারা সমাজের অহংকার। তারা রাজ্যের দুর্নীতির কারণে চাকরি হারিয়েছেন, আর এখন আন্দোলন করতে গেলেই তাদের বিভিন্নভাবে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের নেতারা। এবার বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে বসে থাকা যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিদের এমন এক শব্দে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যার ফলে চাকরি হারাদের ক্ষোভ যেমন বৃদ্ধি পেল, ঠিক তেমনই তার এই মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

জানা গিয়েছে, বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী যোগ্য চাকরিহারাদের এদিন কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “হুলিগানদের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, একজন আইনজীবী হয়ে, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কি করে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের এইভাবে রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ করতে পারলেন কল্যানবাবু? তিনিও তো পড়াশোনা করেই আজকে বিশিষ্ট আইনজীবী হয়েছেন। তাহলে তাকেও তো কোনো শিক্ষকের কাছ থেকেই শিক্ষা নিতে হয়েছে। আর আজকে তার সরকারের ভুলের কারণে, দুর্নীতির কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তারা যখন নিজেদের চাকরি ফেরত পেতে আন্দোলন করছেন, তখন তাদের হুলিগান বলে এই অপমান কেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝাড় যেমন, বাঁশও তেমন। এক ঝাড়ে তো আলাদা বাঁশ হয় না।‌ যে দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের এই আন্দোলনকে আক্রমণ করে “এই আন্দোলনে বাইরের অনেক রয়েছে” বলে মন্তব্য করেন, সেই দলের একজন সাংসদের কাছ থেকে এইরকম রুচিহীন শব্দ শোনা যাবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এই সমস্ত শব্দ প্রয়োগ করে নিজের দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি এবং জনমানসে তার ভাবমূর্তিকে যে আরও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছেন কল্যাণবাবুরা, তা কি তারা বুঝতে পারছেন না! নাকি বুঝেও শুধুমাত্র চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের অপমান করে নেত্রীর কাছে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।