প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ভালোর জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিক আইন পাস করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার বিরোধিতা করতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেমন, দেশে ওয়াকফ সংশোধনী আইন লাগু হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই তার বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করেছেন, ঠিক তেমনই তার প্রশ্রয়ে এই বাংলার বুকে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছেন। আর তার ফলে মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। আর সেই দাঙ্গার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, যেভাবে তিনি ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করেছেন, এবার সেই বিষয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাতেনাতে ধরে ফেললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গতকাল নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে ওয়াকফ আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বিরোধিতা, তাকে কড়া ভাষায় তুলোধোনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “মমতা দিদি ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে কার পক্ষ নিচ্ছেন? পুরো বাংলা চাইছে, ওয়াকফ ভালোভাবে চলুক। পারদর্শিতা আসুক, নির্দোষদের জমি যাতে দখল না হয়ে যায়, সরকারি জমি যাতে অধিগ্রহণ না হয়। কিন্তু মমতা দিদি এর বিরোধিতা করছেন। ২০২৬ সাল পর্যন্ত যত বিরোধিতা করার করুন। তারপরে আর মুখ্যমন্ত্রীই থাকবেন না।”
বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করার পরেই দুধেল গাইয়েরা এই রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। মুর্শিদাবাদের মত জায়গায় হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার হয়েছিল। আর তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তির বাণী দিয়েছিলেন, এটা দেখানোর জন্য যে, তিনি এই সমস্ত অশান্তি চান না। কিন্তু বাস্তবে তার প্রশ্রয়েই রাজ্যজুড়ে শান্তির ছেলেদের উৎপাত শুরু হয়েছে। সমস্ত দেশবিরোধী কাজে প্রশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। তবে এবার তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। শাক দিয়ে যতই মাছ ঢাকার চেষ্টা করুন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, বাস্তবে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে তিনি বাংলার এবং দেশের সর্বনাশ করছেন বলে এই দাবি গেরুয়া শিবিরের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, শুধুমাত্র কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে হবে, এটাই এখন প্রধান এজেন্ডা এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ওয়াকফ আইনকে গোটা দেশবাসী স্বাগত জানাচ্ছেন। এমনকি মুসলিমরাও এর সার্থকতা বুঝে তাতে সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এর বিরোধিতা করার পরেই নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের উৎপাতে বাংলায় দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটা ভাব দেখিয়েছিলেন, যেন তিনি কিছুই বলেননি। তবে দেশের আইনসভায় পাশ হয়ে যাওয়া স্বীকৃতি পাওয়া একটি আইন, তার যেভাবে বিরোধিতা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করছেন, তা একেবারে হাতেনাতে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেস্টিজ পামচার করে দিলেন অমিত শাহ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।