এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জনরোষে গুরুতর জখম তৃনমূল কাউন্সিলর ও বাবা, বিজেপির বিরুদ্ধে “সন্ত্রাসের” অভিযোগ মন্ত্রীর

জনরোষে গুরুতর জখম তৃনমূল কাউন্সিলর ও বাবা, বিজেপির বিরুদ্ধে “সন্ত্রাসের” অভিযোগ মন্ত্রীর

শিলিগুড়ি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরকে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে পড়ল দার্জিলিং জেলার রাজনীতি। নিগৃহীত ওই কাউন্সিলরের নাম দূর্গা সিং। তিনি শিলিগুড়ির 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। জানা যায়, রবিবার বিকেলে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি পালন করার আগে তিনি তার বাবাকে নিয়ে এলাকার একটি মন্দিরে যান। তৃণমূলের অভিযোগ, মন্দির চত্বরে চলতে থাকা মদ ও গাঁজার আসর বসানোর প্রতিবাদ করে ওই কাউন্সিলর।

আর তারপরেই দুষ্কৃতীরা তাদের উপরে হামলা চালায়। নিগৃহীত কাউন্সিলর ও ওই কাউন্সিলারের বাবা। নিজেও প্রাক্তন কাউন্সিলর। তিনি এখন গুরুতর জখম অবস্থায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি। মঙ্গলবার হাসপাতালে অমরনাথবাবুর সঙ্গে দেখা করে আসেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

এর পরে সাংবাদিকদেরকে গৌতম বাবু জানান, “সন্ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দিদিকে বলো কর্মসূচির আগে কাউন্সিলর ও তার বাবার উপরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। এই ধরনের রাজনীতি আর সহ্য করা হবে না। ওরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে। আমি প্রশাসনিক কাজে কলকাতায় যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরেই ওই এলাকায় গিয়ে প্রতিবাদ সভা করব। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গেও এই ঘটনা নিয়ে কথা বলব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার এলাকায় যাবে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির এক প্রতিনিধিদল। এই ব্যাপারে আক্রান্ত তৃণমূলের কাউন্সিলর জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় বাবাকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের এলাকাছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে তৃণমূলের তোলা সব অভিযোগকে একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি। এই বিষয়ে বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি বলেন, “ওই কাউন্সিলার জমি দখল করতে গিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তৃণমূল পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

তবে জেলা বিজেপির সভাপতির দাবিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত কাউন্সিলর। তিনি পাল্টা দাবি করে বলেন, জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন। তবে তা তৈরি করার জন্য একজন 21 কাঠা জমি দান করেছিলেন। কয়েকজন সেখানে স্কুল তৈরি করতে দিতে রাজি নন। তবে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি রাজনীতিতে যে নতুন মোড় এসেছে, তা আগামী দিনে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবিকে আরও প্রকট করে কিনা, সেদিকেই নজর রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

প্রাক্তন কাউন্সিলরের উপরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন শিলিগুড়ি পৌর নিগমের মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।” কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনে এই সংঘর্ষ তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক হিংসাকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!