ভোটের সময় হঠাৎ করে বাজার থেকে গায়েব দুহাজারের নোট, ক্রমশ বাড়ছে সন্দেহ! জাতীয় রাজ্য April 16, 2019 নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ‘ক্যাশ টাকার’ প্রয়োজন হয় – একথা সকলেই জানে। সেই মত তৈরিও থাকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলো। কেননা ভোটের প্রচার থেকে, কর্মীদের খাওয়ানো, প্রচারের গাড়ি থেকে দেওয়াল লিখন, ব্যানার-ফেস্টুন থেকে শুরু করে প্রচারের মঞ্চ – নির্বাচনের খরচ অনেক। মুখে স্বীকার না করলেও, স্বীকৃত দলগুলি নিজেদের প্রার্থীর জন্য এইসবের পিছনে মোটা টাকা খরচ করে। তবে নির্বাচনে জিততে অনেক প্রার্থীই দলীয় ফান্ডের বাইরেও নিজের ট্যাঁকের কড়ি খসাতে দুবার ভাবেন না। আর এইসব খরচের বেশির ভাগটাই হয় ক্যাশ টাকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘লেস-ক্যাশ সোসাইটির’ স্বপ্ন দেখুন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মত তাঁর নিজের দলও নির্বাচনের মুখে প্রার্থীদের খরচের জন্য নগদ টাকার উপরেই আস্থা রাখে। আর খোলা বাজারে এত নগদ টাকার ঘোরাফেরা হওয়ায় নির্বাচনী মরশুমে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন। আর তাই, এই সময়ের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের ব্যাঙ্কিং কেন্দ্রে বা এটিএমে যথেষ্ট পরিমান নগদ মজুত রাখেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, এবারের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বাজার থেকে প্রায় উধাও হয়ে গেছে দুহাজার টাকার নোট! এমনিতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দুহাজার টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে, কিন্তু তা সত্বেও এতদিন ধরে সেইভাবে কোনো অসুবিধা হয় নি এই নোট পেতে। কিন্তু, ইদানিং এটিএম হোক বা সাধারণ লেনদেন – সবকিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ পাঁচশো টাকার নোট! বাজার থেকে হঠাৎ করে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে গেছে বর্তমানে ভারতীয় অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ মূল্যের নোটগুলি! আর, এই তথ্য সামনে আসতেই তা রীতিমত ভাবনায় ফেলে দিয়েছে ভোট বিশেষজ্ঞদের। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নির্বাচনকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষন করা একাধিক ভোট বিশেষজ্ঞের ধারণা – এই দুহাজার টাকা ‘উধাও রহস্যের’ পুছনে রাজনৈতিক দলগুলির হাত থাকার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। যেসব রাজ্যে নগদ টাকার বিনিময়ে ভোট ‘কেনাবেচা’ হয় সেইসব রাজ্যের নেতাদের কাছেই এইগুলি মজুত থাকার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। ফলে, এই দুহাজার টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের এই নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে মোটা টাকা জমা থাকার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আপনার মতামত জানান -