প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে রাজ্যজুড়ে যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে, তা নিয়ে বহুদূর জল গড়িয়েছে। তবে সেই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করলেও, সঠিকভাবে বিরোধী দলের যে সমস্ত কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাদের পরিবার সুবিচার পায়নি বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। তবে অবশেষে এবার সেই ব্যাপারে বড় মাথাকে ধরে ফেললো সিবিআই। যার ফলে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির।

জানা গিয়েছে, ২০২১ এর ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণ হারিয়েছিলেন কাকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনার তদন্ত চলে। এমনকি মামলার সাক্ষ্যদানের আগে প্রয়াত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারকেও হুমকির মুখে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, তাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে ভাইয়ের মৃত্যুর সুবিচার চাইতে শেষ পর্যন্ত যে তিনি এই লড়াই লড়বেন, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। আর অবশেষে সেই ঘটনায় পাওয়া গেল সুবিচার। যেখানে বিজেপি কর্মী খুনের প্রায় চার বছর পর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হলো নারকেলডাঙ্গার বাসিন্দা অভিযুক্ত অরুণ দে নামে এক ব্যক্তিকে। সেদিন এই খবর সামনে আসার পরেই কিছুটা হলেও আশাবাদী হতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ২০২১ এর ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রচুর বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আর এই হিংসার ঘটনায় শাসক দলের অনেক বড় বড় মাথারা জড়িত। কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুতে প্রধান অভিযুক্তকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে ঠিকই। তবে যারা শাসকদলের বড় বড় নেতার আশ্রয়ে এই হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই সমস্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, যাদের নাম এই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রয়েছে, তাদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। কারণ সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এরা যদি বাইরে থাকে, তাহলে তারা আবার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি এই ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছে। সেদিক থেকে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপে বিজেপি কিছুটা হলেও আশাবাদী হয়ে উঠতে শুরু করেছে। তাদের আশা যে, এবার সেই ভোট পরবর্তী হিংসা আরও যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছেন, সেই ঘটনায় যারা প্রধান অভিযুক্ত, তারাও গ্রেফতার হবেন। তাই কাকুরগাছির বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই আর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তার ফলে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় গোটা পরিস্থিতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।