প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে ভারতবর্ষেও। আতঙ্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে, আবার ভারতবর্ষে লকডাউন বা করোনার সময় যে সমস্ত বিধি নিষেধ ছিল, তা ফিরে আসবে না তো? এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সেভাবে বৃদ্ধি না পেলেও আগেভাগেই সমস্ত রকম সচেতনতামূলক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তবে বর্তমানে ভারতের যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে এখনো তেমন কোনো আতঙ্কের বিষয় নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরিস্থিতি যতই হালকাভাবে নেওয়া হোক না কেন, ভবিষ্যতে যাতে তা জটিল না হয়, তার জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা।
বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকেও মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ওপরে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি যারা গ্রীষ্মের ছুটিতে বাইরে ঘুরতে যাচ্ছেন, তাদের আরও বেশি করে সচেতন থাকা এবং মাস্ক, স্যানিটাইজার নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ এশিয়ার দেশগুলিতে করোনা আতঙ্ক ফিরতেই ভারত নিজেদের মতো করে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো।
তবে আপাতত যে লকডাউনের কোনো সম্ভাবনা নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।কেননা ভারতে আবার নতুন করে যে সমস্ত করোনা ভাইরাস দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আক্রান্তদের মধ্যে তেমন বেশি উপসর্গ নেই বললেই চলে। মূলত, জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি এবং মুখের স্বাদ চলে যাওয়ার মত উপসর্গ রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি কেউ জ্বর, কাশির মত অসুস্থতা দেখেন, তাহলে তাদের অতি দ্রুত করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে যারা গর্ভবতী রয়েছেন, তাদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পাশাপাশি আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে গুজব এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।কিন্তু সরকার এবং বিশেষজ্ঞরদের নির্দেশ মেনে সাধারন মানুষ কতটা সচেতনতা অবলম্বন করতে পারেন, তার ওপরেই ভবিষ্যতের সুরক্ষা নির্ভর করছে। বাইরের দেশ গুলিতে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অবশ্যই তা চিন্তার কারণ। কিন্তু ভারত যেভাবে এখন থেকেই সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি সচেতনতায় করোনা নামক অসুর বধে এবারও জিতবে দেশ। অন্তত তেমনটাই আশা করছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা।