ইস্তফা দিতে চলেছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়? জল্পনা চরমে বিশেষ খবর রাজ্য March 10, 2018 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ইদানিং দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ত্ব ক্রমশ বাড়ছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রথমে নারদ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে ও পরবর্তীকালে ‘গার্হস্থ্য হিংসার’ কারণে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (যিনি আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস জেলা সভানেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ) সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করে দলে রীতিমত কোনঠাসা। এই অবস্থায় জল্পনা বাড়িয়ে তিনি গতকাল শাসকদলের কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত। শোভনবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যায় তিনি নাকি শারীরিকভাবে অসুস্থ তাই ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। কিন্তু ওই বৈঠক শেষ হতেই তিনি জল্পনা বাড়িয়ে কলকাতা পুরসভায় গিয়ে নিজের কাজ করতে থাকেন। ফলে উঠে যাচ্ছে অসংখ্য প্রশ্ন, যাঁর আগেরদিন রাত পর্যন্ত কোনো শারীরিক অসুস্থতা ছিল না, তিনি সকাল থেকেই হঠাৎ অসুস্থ, আবার কোর কমিটির বৈঠক শেষ হতেই তিনি হঠাৎ করে সুস্থ। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়া এড়াতেই অসুস্থতা। অন্যদিকে কলকাতার এক নামি ওয়েব পোর্টালের খবর অনুযায়ী শীঘ্রই মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে দুজনের নাম ভেসে উঠছে। যাঁদের মধ্যে একজন দক্ষিণের মন্ত্রী-বিধায়ক, অপরজন উত্তরের বিধায়ক এবং দুজনেই মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহধন্য। আর তাই নাকি মুখ্যমন্ত্রী মেয়র হিসাবে শোভনবাবুকে সরিয়ে এঁদের দুজনের একজনকে মেয়র করার আগেভাগেই ‘সম্মানজনক ‘ ইস্তফা দিয়ে দিতে চান। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -