এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েতে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট জল্পনা উস্কে দিতেই কি শাসকদলের এই পরিবর্তন?

পঞ্চায়েতে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট জল্পনা উস্কে দিতেই কি শাসকদলের এই পরিবর্তন?

সরকারিভাবে এই নিয়ে কোনো দলই এখনো মুখ খোলেনি। বরং কর্মীসভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে দলীয় কর্মীদের নীচুতলায় বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কি পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চায় ? প্রশ্নটা উঠছে রাজনৈতিক মহলে কারন, মান্নান হোসেনের মৃত্যুতে আচমকাই বদলে গেছে মুর্শিদাবাদ তৃণমূল সাংগঠনিক চিত্র । মান্নানের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সুব্রত সাহাকে যিনি রাজনৈতিক মহলে অধীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত । তৃণমূলে থাকলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা সবাই জানে । যে কারণে তাঁকে জেলা তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন আর এক কংগ্রেস ত্যাগী মান্নান হোসেন।
কিন্তু মান্নান সাহেবের মৃত্যু পরবর্তীতে ফের সুব্রত বাবুকে সভাপতি করায় জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি বিজেপির বাড়বাড়ন্তে সুব্রত সাহাকে ফের সভাপতি করে অধীর চৌধুরীকে বার্তা দিতে চাইল তৃণমূল কংগ্রেস? এমনিতে দিল্লি হাইকমান্ড চাইছে পুনরায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করুক। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে নিয়ে নমনীয় হলেও তৃণমূলে খড়্গহস্ত অধীর চৌধুরী। আর তাই জোট হয় নি বাংলায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহত্তর স্বার্থে হাল ছাড়তে নারাজ বলেই সুব্রত বাবুকে মুর্শিদাবাদে সভাপতি করেছেন বলে মনে করেন দলের একাংশ। যদিও সুব্রত সাহাকে জেলা সভাপতি পড়ে ফিরিয়ে আনা ভালোভাবে নেননি দলের আর একটা বড় অংশ। অধীর বাবুর সঙ্গে সুসম্পর্ক বলেই সুব্রতর প্রতি অনাস্থা দেখিয়েছিলেন অনেকে, তবে ফের কেন তিনিই জেলা সভাপতি সেই প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি সন্তপর্ণে সুতো জোড়ার কাজটা শুরু হল, উত্তর দিতে পারে একমাত্র ভবিষ্যৎই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!