এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ৪৮ ঘণ্টা কাটতে চললেও বাইডেনকে কোনো শুভেচ্ছাবার্তা নেই চীনের, অবাক দুনিয়া, সাফাই লালদেশের

৪৮ ঘণ্টা কাটতে চললেও বাইডেনকে কোনো শুভেচ্ছাবার্তা নেই চীনের, অবাক দুনিয়া, সাফাই লালদেশের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ সময় ধরে চলা স্নায়ুযুদ্ধে অবশেষে জিতেছেন জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ ইতিমধ্যেই পাকা তাঁর। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাতে যে কিছুই যায় আসে না তা বোঝা গেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে বাইডেনকে পাঠানো শুভেচ্ছা দেখে। এমনকি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হয়ে আমেরিকায় প্রচার করে এসেছিলেন ‘আব কি বার ট্রাম্প সরকার’, সেই নরেন্দ্র মোদিও তড়িঘড়ি জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন বুঝতে পেরেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর জো বাইডেনকে বিভিন্ন দেশ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা জানালেও এখনো পর্যন্ত চীনের তরফ থেকে কোনো শুভেচ্ছাবার্তা আসেনি। আর যা এই মুহূর্তে বিশ্বের রাজনৈতিক মহলে জন্ম দিয়েছে তীব্র সমালোচনার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে জো বাইডেন ম্যাজিক ফিগার পেরোতেই টুইটের বন্যা বয়ে গেছে। একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তা ভেসে এসেছে জো বাইডেনের প্রতি। কিন্তু 48 ঘণ্টা কাটতে চললেও এখনো পর্যন্ত বেজিংয়ের পক্ষ থেকে কোনরকম শুভেচ্ছাবার্তা জানানো হয়নি বাইডেনের প্রতি। যদিও সে ব্যাপারে একপ্রকার যুক্তি দিয়েছে বেজিং সরকার।

চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সরকারিভাবে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা না হলে বেজিংয়ের পক্ষ থেকে কোনো কিছু সরকারিভাবে করা যাবেনা। যদিও ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, বেজিংয়ের তরফ থেকে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে গেলেও তাতে ভোটের ফলে বিশেষ কোনো অদলবদল হবেনা। আগামী চার বছরের জন্য আপাতত হোয়াইট হাউস হতে চলেছে জো বাইডেনের ঠিকানা। তবে কূটনৈতিক মহলের মতে, চীন কিন্তু এ সমস্ত ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে প্রশ্ন উঠেছে চীনের এই মনোভাবের কারণ কি? শি জিনপিং প্রশাসন হয়তো এভাবেই বার্তা দিতে চাইল নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চীনের মতোই রাশিয়া এবং মেস্কিকোও এখনো পর্যন্ত বাইডেনকে অভিনন্দন জানায়নি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই মেস্কিকো সীমান্তে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে চলছে মারাত্মক চাপানউতোর। পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধেও ট্রাম্প সরকার কার্যত করোনা নিয়ে একের পর এক দোষারোপ করে গিয়েছে। এমনকি চীনকে করোনার জন্য একমাত্র দায়ী বলেও অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে হংকং নিয়েও চীনের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক সংঘাত মার্কিন প্রদেশের।

করোনার মধ্যেই হংকংকে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করেছিল আমেরিকা। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সে সময় চীন। আপাতত জো বাইডেন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি গণতান্ত্রিক নেতাদের পাশেই থাকবেন। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের মতোই তিনিও কড়া অবস্থান যে নেবেন, সেকথাও পরিষ্কার করেছেন তাঁর বক্তব্যে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের মতন মুখের কথায় নয়, বাইডেন এক্ষেত্রে কূটনৈতিকভাবেই চীনকে টক্কর দেবে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসার শুরুতেই যেভাবে চীনের সঙ্গে অনুচ্চারিত টক্কর শুরু হল আমেরিকার, তা কিভাবে সামাল দেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!