এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কুচবিহারে ১৪৭ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব, নতুন শিল্প-সম্ভাবনা ঘিরে খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গে

কুচবিহারে ১৪৭ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব, নতুন শিল্প-সম্ভাবনা ঘিরে খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গে


কোচবিহারের শিল্প স্থাপনকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের পথ খোলার সম্ভাবনা তৈরি হল। ১৪৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ৫০ টি শিল্প কারখানা তৈরি করা প্রস্তাব এসেছে জেলা শিল্প কেন্দ্রের কাছে। বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। এদিকে,মাসখানেক ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা চকচকার পাটকলটি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে এদিনই। ফলত নতুন শিল্প গড়ে ওঠার মরশুমে শিল্পবিহীন জেলায় খুশি হাওয়া আপাতত উওরবঙ্গে।

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,বেশ কিছুদিন ধরেই চকচকার জুট পার্কের জমিতে শিল্প তৈরি হওয়া নিয়ে নানান টালবাহানা চলছিল। জমির জন্য সরকারের কাছে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বহুদিন,তবুও নাকি এখনো জমির ইজারা সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে আসেনি এমনটাও অভিযোগ রয়েছে।  অস্বস্তিতে জেলা শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম এবং শিল্পমহলও। তবে জেলা জুড়ে নতুন শিল্প প্রস্তাব আসায় আবার শিল্প সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শিল্পোদ্যোগীরা সরকারি কোনো পরিকাঠামো ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যেগ নিয়েই জেলার বিভিন্ন জায়গায় শিল্প স্থাপন করতে এগিয়ে এসেছে। এ প্রসঙ্গে,শিল্পোদ্যোগীদের একাংশ জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতা একটু কমে যাওয়ায়  শিল্পস্থাপনের উদ্যোগ নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। কিন্তু চকচকাতে সরকারের কাছে ইজারা নিয়েই শিল্প কারখানা তৈরির স্বপ্ন দেখছিল অনেকেই। কিন্তু সরকার যেভাবে ইজারা সংক্রান্ত ব্যাপারে গা ঢিলেমি দেখাচ্ছে,তাতে হতাশ হয়ে পড়েছিল অনেকেই। তাই শিল্পোদ্যোগীরা নিজেদের উদ্যোগে জমির ব্যবস্থা করে শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।

অন্যদিকে,জেলায় নতুন শিল্পস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দেখে নিজের খুশির কথাই ব্যক্ত করলেন কোচবিহার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক রাজেন বৈদ্য। জানালেন,শিল্পদ্যোগীদের প্রয়োজনে সবরকম সাহায্য তাঁরা করবেন। চকচকার জুটপার্কের জমিতে শিল্প স্থাপনের স্বপ্ন এবার পূরণ হোক এটাই তিনি চান।

ওদিকে,জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার তাপস কুমার রায় জানান,জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শিল্পক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগের প্রস্তাব তাঁরা পেয়েছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় শিল্প ইউনিট তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন তিনি।

প্রসঙ্গত,শিল্পস্থাপনের প্রস্তাব পাওয়া পর পরই শিল্প কেন্দ্রে তুমুল তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিল্প প্রস্তাবগুলো তাঁরা তালিকাভুক্ত করতেও শুরু করে দিয়েছে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, জেলায় প্রস্তাবিত ১৪৭ কোটি টাকার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে। ওই ইউনিটগুলোতে কারখানা কাজ সম্পূর্ণ হতে আর একটুখানিই বাকি রয়েছে। দিনহাটা,কোচবিহার,মাথাভাঙ্গা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জোর কদমে চলছে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া। এর মধ্যে  প্রস্তাব রয়েছে চালকল স্টিলের বাসন তৈরি,সিমেন্টের ব্লক তৈরি,মুড়ির চাল তৈরি,হিমঘর,পিভিসির নানান সামগ্রী তৈরির।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শিল্পকেন্দ্রের আধিকারিকদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,মুড়ির চাল এতোদিন বর্ধমান থেকে আনা হতো। এখন তা কোচবিহারের ফলমারিতেই তৈরি করা সম্ভব হবে। এ মাসেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন জেলা নিয়ে শিল্প সংক্রান্ত সিনার্জি হওয়ার কথা। সেখানই তুলে ধরা হবে কোচবিহার জেলা সংক্রান্ত এসব প্রস্তাবগুলিকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!