এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ছাত্র-শিক্ষকদের একযোগে নজরদারি চালাতে বিশেষ সফ্টওয়্যার আনছে রাজ্য সরকার

ছাত্র-শিক্ষকদের একযোগে নজরদারি চালাতে বিশেষ সফ্টওয়্যার আনছে রাজ্য সরকার

এবার স্কুলের পরিচালনা ব্যবস্থায় আরো স্বচ্ছতা আনতে নয়া ব্যবস্থা চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। প্রতিবছর কতো জন পড়ুয়া স্কুলে ভর্তি হল,ক্লাসভিত্তিক ফলাফল,এছাড়াও শিক্ষকদের চাকরিতে যোগদান,বদলি এবং কর্মজীবনের নানান তথ্য স্পষ্টতার সঙ্গে সামনে আনতে স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প চালু করতে চলেছে রাজ্যসরকার।

এই বিশেষ অভিন্ন কোড আনার ব্যাপারে প্রাথমিক পর্বের আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্প সার্থক হবে কিনা তার জন্যে মতামত চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন মহলের। তবে কবে থেকে এই প্রকল্প চালু করা হবে বা এই প্রকল্পের রূপরেখা কেমন হবে তা নিয়ে এখনো কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি।

সব পক্ষের মতামত নিয়েই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলেই জানানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তরে তরফ থেকে। এই প্রকল্প চালু হলে ভুয়ো ভর্তির সংখ্যা ধরা যেমন সম্ভব হবে,তেমনি ক্লাসভিত্তিক ফলাফলও স্বচ্ছতার সঙ্গে সামনে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

শিক্ষাদপ্তর সূত্রের খবর, স্কুলে ভর্তির সময় অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীর একজন পড়ুয়াকে এই ইউনিট কোড দেওয়া হবে। স্কুল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই নম্বর সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন নম্বর হিসাবেই কাজ করবে। এর জন্যে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হবে,যার মাধ্যমে পড়ুয়াকে ট্রাক করা সহজ হবে।

পাশাপাশি সেই পড়ুয়া কোন ক্লাসে কেমন ফল করল,ফেল করল কিনা বা স্কুল বদল করল কিনা এই সংক্রান্ত ইত্যাদি তথ্য এক ক্লিকেই কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে উঠবে। পড়ুয়াদের সঙ্গেই শিক্ষকদেরও এমন ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দপ্তরের। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের স্কুলে যোগদানে এবং অবসরের দিনের পাশাপাশি তাঁদের বদলি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের হদিশ মিলবে সহজেই।

দিনকয়েক আগে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে বসেছিলেন কয়েকটি স্কুলের প্রধানশিক্ষক,অভিভাবক, পড়ুয়া এবং পরিচালন সমিতির সদস্যরা। সেখানে সবাই নিজেদের মতো করে এ ব্যাপারে মতামত রেখেছে। ডিজিট্যাল যুগের প্রয়োজনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য হাতের মুঠোয় রাখতেই এই পদক্ষেপ প্রশাসনের।

যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের স্কুল জীবনের শুরুর দিনেই এই কোড দেওয়া হবে,ফলত অনেক তথ্যই সামনে এসে যাবে বলেই মনে করছে দপ্তরের কর্তারা। তবে উক্ত প্রকল্পটিকে ‘দীর্ঘমেয়াদী’ বলেই উল্লেখ করলেন শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্তা। আজ বললেই যে কাল হয়ে যাবে,এমনটা নয়। এ প্রসঙ্গে সচিব মণীশ জৈনকে ফোন করা হলে তাঁর তরফ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে,একই ধরণের কোড বা নম্বর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের। তাঁরা প্রাথমিক থেকে নয়,মাধ্যমিক থেকে সেই কোড দেওয়া কথা ভেবেছে। এই নম্বর চাকরি জীবন পর্যন্ত বৈধ থাকবে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব জলদিই এই প্রকল্প কার্যকর করা হবে বলেই জানানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!