২১শে জুলাই আয়োজনে পড়ছে ছেদ? দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিস্ফোরক হেভিওয়েট নেতা উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য July 8, 2019 জুলাই মাস পড়লেই ঢাকে কাঠি পরে যায় তৃণমূলের মেগা ইভেন্টের। ২১শে জুলাই, শহীদ দিবসের প্রস্তুতিতে সাজো সাজো রব পরে যায়। নিজের এলাকার মানুষ এনে ডোরিনা ক্রসিং ভরিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মধ্যে। কিন্তু রাজ্য জুড়েই এইবারের ছবিটা বেশ কিছুটা আলাদা। গতকাল আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে শহীদ দিবসের প্রস্তুতিতে একটি সভা ডাকা হয়েছিল। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ডাকা সেই সভায় গতকাল গরহাজির রইলেন আলিপুরদুয়ারের একাধিক কাউন্সিলর, ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ফালাকাটা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি এছাড়াও কুমারগ্রাম ব্লক নেতৃত্ব ও বেশ কিছু তৃণমূল স্থানীয় নেতা কর্মী।। অগত্যা মিটিংয়ে উপস্থিত মাদারিহাট, কালচিনি, ফালাকাটা এবং আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা সারেন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা । ২১ শে জুলাই শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভায় অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুমারগ্রাম ব্লকের এক তৃণমূল নেতা জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, “জেলা নেতৃত্ব ব্লকে আসার প্রয়োজন মনে করে না । আমরা বিজেপির সঙ্গে কীভাবে লড়াই করে বেঁচে আছি তার খোঁজও রাখেন না। জেলা নেতৃত্ব মাঝে মধ্যেই জেলার বাতানুকূল অফিসে মিটিংয়ের জন্য ডাকেন। তাই যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। জেলার নেতারা আগে ব্লকে আসুন তারপর ভাবা যাবে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইভাবে মিটিং অনুপস্থিত আলিপুরদুয়ার শহরের একাধিক কাউন্সিলিরের বক্তব্যে উঠে এল কাটমানি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। কাউন্সিলর দের অভিযোগ আলিপুরদুয়ার শহরের একাধিক কাউন্সিলরের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের সকলের জন্য আবাস প্রকল্পে কাটমানি নিয়ে দলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছিলেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার। এর পর দলের শীর্ষনেতৃ্ত্ব ও আলিপুরদুয়ারের পর্যবেক্ষক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে তাঁদের দাবি ছিল প্রশান্তবাবুকে এই মিথ্যা অভিযোগের জন্য দলীয় নিয়ম মেনে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু দল এই কথা না শোনায় ঐসব কাউন্সিলররা ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হননি। প্রসঙ্গত, ২১শে জুলাইয়ের সভায় অন্যান্য বছর উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর সংখ্যায় মানুষ আসেন। কিন্তু এইবছর গোটা উত্তরবঙ্গেই একরকম পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের ব্যর্থতা, কাটমানি কাণ্ড, দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান এই সব কারণ মিলিয়ে শহীদ দিবসের প্রতি আগ্রহী কর্মী সমর্থকের সংখ্যা কমছে। এই অবস্থায় ২১শে জুলাইয়ে ধর্মতলা চত্বর ভরানোর জন্য কি পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার সেইদিকে আগ্রহ থাকছে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -