সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দাদার কীর্তির কীর্তিমান ব্যক্তিটি চলে গিয়েছেন পরলোকে। বিশিষ্ট অভিনেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তার মৃত্যু হলেও, তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে ছাড়লেন না রাজনীতির কারবারিরা। গতকাল রবীন্দ্রসদনে শায়িত তাপস পালের মৃতদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এই ব্যাপারে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রীয় এজেন্সির জন্যই তাপস পালের মৃত্যু হল বলে দাবি করেন তিনি। আর এভাবে নিজেদের দলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজনীতি টেনে আনলেন, তা এখন সমালোচনার শিকার হয়েছে সব মহলে।

এবার এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “তাপস পালের মৃত্যু দুঃখজনক। তবে পরিবার ছাড়া তার পাশে আর কেউ ছিল না। ভুবনেশ্বরের জেলে থাকলেও, তাকে কোনোদিন কোনো তৃণমূলের নেতা দেখতে যায়নি। তৃণমূল থেকে তাপস পালকে ছেটে ফেলা হয়েছিল।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাপস পালের মৃত্যুতে বিজেপিকে দায়ী করলেও, তা নিয়ে পাল্টা তৃণমূলকে দায়ী করেন দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “এজন্য তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তাপস পাল সবকিছু করেছেন। ফেঁসে যাওয়ার পরেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।” এদিকে তৃণমূলের অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। কেউ জেলে গিয়েছেন, আবার কেউ বা জেলে যাবেন বলেও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

তবে তাপস পালকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন এবং রাজনীতি টেনে এনেছেন, এদিন তার সর্বাত্মক বিরোধিতা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতির কথা মেনে নিয়েছেন। তারা টাকাও ফেরত দিয়েছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আত্মগ্লানি থেকে এইসব কথা বলছেন। যেখানে আত্মার সদগতি কামনা করা উচিত, সেখানে গিয়ে উনি রাজনীতি করছেন। হতাশা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব মন্তব্য করেছেন।” সব মিলিয়ে এবার মমতা বন্দোপাধ্যায় তাপস পালের মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় তার কড়া জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।