2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন পৌরসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে মরিয়া ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই তো এখন সেই পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি তাদের সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চাইছে। জানা যাচ্ছে, আগামী এপ্রিল মাসেই রাজ্যের সমস্ত পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তার আগে কলকাতা এবং হাওড়া পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ কমিশনের কাছে জানিয়ে দিয়েছে।

এখন কমিশনের পক্ষ থেকে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কি ঘোষণা করা হয়, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। তবে তার থেকেও বড় নজর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির এবারের পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকার দিকে। কেননা যে কোনো নির্বাচনেই কোনো একটি মুখের ওপর নির্ভর করে এগোতে হয়। সেদিক থেকে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে চায়, তাহলে তাদের এবারের পৌরসভা নির্বাচনে কলকাতা পৌরসভার মেয়র মুখ কে হবে, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। তবে তা এখন ঘোষণা করতে চায় না গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরেই তারা তা ঘোষণা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সায়ন্তন বসু।

পাশাপাশি কলকাতা পৌরসভার মেয়র মুখ নিয়েও বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা বলেন, “পৌরসভা নির্বাচনে কাউকে মুখ না করেই লড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি।” আর বিজেপি নেতার এই কথা থেকে একপ্রকার স্পষ্ট যে, এবারের পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপি এখন থেকে কাউকে মুখ না করে সাফল্য পাওয়ার দিকেই এগিয়ে যেতে চাইছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিন অতীতে তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়েও রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।

তিনি বলেন, “উন্নয়ন দেখতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের বাড়িতে চলে যান। আমরা মানুষের উন্নয়ন চাই। কলকাতাকে লন্ডন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথায় কি হয়নি, তা তুলে ধরা হবে।” তবে তৃণমূল যখন কাউকে না কাউকে মুখ করে পৌরসভা নির্বাচনে লড়বে, তখন বিজেপি সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করলেও, সেভাবে তাদের মুখ না থাকায় তারা অতটা সাফল্য পাবে কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। সব মিলিয়ে এবার পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর বিজেপির প্রার্থী তালিকায় কি কি চমক থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।