এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আবারও বিতর্ক বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে, রাজনৈতিক মহলে শুরু তীব্র সমালোচনা

আবারও বিতর্ক বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে, রাজনৈতিক মহলে শুরু তীব্র সমালোচনা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এবং জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যার সাথে সাথে পরস্পর-বিরোধী বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। দিনদিন এই বিভ্রান্তি যত বাড়ছে, ততই সারাদেশে তূমুল আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ছে।

অন্যদিকে, এন আর সি ও সি এ এ এবং এনপিআরের বিরোধিতায় টানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশের অবিজেপি রাজ্যগুলি, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালার নাম প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন এবং তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবাংলায় এই নীতি প্রয়োগ হবে না। একইভাবে কেরালা সরকারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজের মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এবার নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজস্থানের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে।

এবার রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক মদন দিলাওয়ার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন নাগরিকত্ব আইন এর বিরুদ্ধে পথে নামা আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে। এই নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিধায়ক মদন দিলাওয়ার বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যাঁরা পথে নামছেন, তাঁরা কেউ ভারতীয় নন। তাঁদের এখনই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।’ এই মন্তব্য সামনে আসার সাথে সাথেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে।

কেন্দ্র বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সাধারণ জনগণও পায়ে পা মিলিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে সাড়া দিয়েছেন। একাধিক গণসংগঠন ও সাধারণ মানুষের একাংশ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গসহ অবিজেপি রাজ্যগুলি তাঁদের কেন্দ্রীয় বিরোধিতার কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি কোনমতেই কার্যকর হবেনা। এনপিআর নিয়েও তিনি কেন্দ্র বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও সেখানে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি কার্যকর করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, কেরালায় এনপিআর চালু করবেন না তিনি। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা ছাড়াও দেশের অবিজেপি রাজ্যগুলি থেকে কেন্দ্রীয় বিরোধিতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিনারাই বিজয়ন এর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন এনপিআর প্রসঙ্গে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মেতে উঠেছে। ঠিক উল্টোদিকে বিজেপিও এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন এর সমর্থনে জনমত তৈরিতে পথে নেমেছে। বিরোধীদের সামলাতে গিয়ে বিজেপি নেতারা বিভিন্ন সময় এমন কিছু মন্তব্য করছেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এবার নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন রাজস্থানের কোটার রামগঞ্জ মান্ডির বিজেপি বিধায়ক মদন দিলাওয়ার। তিনি এদিন বলেছেন,‘আন্দোলনকারীদের যদি বাংলাদেশ বা পাকিস্তান না নেয়, তাহলে তাঁদের ভারত মহাসাগরে ডুবিয়ে দেওয়া উচিত।’এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই বিরোধী শিবিরে তুমুল নিন্দা শুরু হয়।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্দোলনকারীদের সমালোচনার পাশাপাশি তিনি কংগ্রেস দলকেও তুলোধোনা করেছেন। এদিন বিজেপি বিধায়ক নিশানা করেছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। বিধায়ক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে অনেকে দেশ জ্বালাচ্ছে। পুলিশকে মারছে। সেই বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ সমর্থন জানাচ্ছেন। সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা কিংবা রাহুল যেই হোন না কেন, তাঁদের ভারতে থাকার অধিকার নেই।’ এদিন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে দিলাওয়ার বলেন, যারা দেশ ভাঙতে চাইছে, কংগ্রেস তাঁদের সহযোগিতা করছে।

ইতিমধ্যে দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে যে বিলটি পাস হয়েছে তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিরোধী মহলে। শুধু তাই নয়, এনআরসি বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর সারা দেশজুড়ে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বিভাজনের রাজনীতি করতে চলেছেন। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং প্রস্তাবিত নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে যেভাবে লাগাতার আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে কেন্দ্রীয় মহলে। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!