মন্ত্রীর প্রাক্তন দেহরক্ষী এখন দলীয় সভাপতি,ক্ষোভ তৃণমূলের অন্দরে রাজ্য December 20, 2017 দেহরক্ষী দলীয় সভাপতি – প্রশ্নটা সেখানেই ,ঐ গ্রাম পঞ্চায়েতে কি কেউ ছিল না ? – লজেন মোচাহারি দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তৃণমূলের গুড়িয়াহাটি ১নম্বর অঞ্চলের দলীয় অন্দরে এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। একটানা পনেরো বছর তিনি তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দেহরক্ষী ছিলেন তিনি।মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে ডেকে রবীন্দ্রনাথবাবুই লজেনবাবুকে ওই দায়িত্ব দেন ।আর তা নিয়েই বিতর্কের শুরু।দলের তাঁর বিরোধী শিবিরের লোকজন প্রশ্ন তুলছেন ,যিনি কোনোদিন দলই করলেন না ,তাঁকে কি করে ওই পদে বসানো হলো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রবীন্দ্রনাথবাবুর বিরোধী এক তৃণমূল নেতা বলেন, “যতই কাছের হোক না কেন,একজন পুলিশ কর্মীকে হঠাৎ করে দলের বড় দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি।তাতে সংগঠনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।” এই সমস্ত অভিযোগের উত্তরে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন ,”পনেরো বছর ধরে লজেনবাবু আমার সাথে ছিলেন। সকাল থেকে রাত সমস্ত জায়গায় আমার সঙ্গে যেতেন ।ভোটের প্রচারেও থাকতেন।সব মিলিয়ে তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা অনেক বেশি । তিনি এখন চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।আবার দলের হয়ে কাজ করবেন।” তিনি আরো বলেন ,”ওই অঞ্চলের দায়িত্বে যিনি ছিলেন সেই মনিন্দ্রানাথ রায় পদত্যাগ করেছেন। ওই পদে লজেনবাবুকে বসানো হয়েছে ।এছাড়া কার্যকরী সভাপতি হিসাবে আব্দুল কাদের ও জীবন সরকার কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” দলীয় সূত্রে খবর , দীর্ঘ পনেরো বছর রবীন্দ্রনাথবাবুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন লজেনবাবু।২০০১ সালে রবীন্দ্রনাথবাবু কোচবিহার সভাপতি হন সেই সময় তাঁর দেহরক্ষী হিসাবে নিয়োগ করা হয় লজেন বাবুকে । রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীদের অনেকেই বলেন,বামেদের বিরুদ্ধে প্রচারে গ্রামে-গঞ্জে যেতেন।যেকোনো সময় হামলার মুখে পড়তে হতে পারে। সেই সময় নেতাকে ‘আগলে’ রেখেছিলেন তাঁর দেহরক্ষী।তৃণমূল ক্ষমতায় এসে থেকে রোবিন্দ্রানাথবাবু মন্ত্রী হওয়ার পরেও লজেনবাবুর গুরুত্ব কমেনি।তিনি ৩১ অক্টোবর অবসর নেওয়ার সময়ই জানিয়েদিয়েছিলেন দলের কাজে থাকবেন ।মন্ত্রীও জানিয়েছিলেন ,তাঁকে দায়িত্বে আনবেন।লজেনবাবু এইসমস্ত অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।তিনি বলেন,”রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে থাকতে থাকতেই রাজনীতির পাঠ নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন মনেপ্রাণে তৃণমূল করছি।পুলিশের চাকরি করতাম সেই সূত্রে রবীন্দ্রনাথবাবুর দেহরক্ষী ছিলাম তাই সরাসরি রাজনীতি করিনি ।এবারে সুযোগ এসেছে ,তাই করছি।আশা করছি সবাইকে নিয়ে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী করতে পারবে।” এ বিষয়ে প্রাক্তন সভাপতি মনিন্দ্রাবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,”২০১০ থেকে সভাপতি ছিলাম।আমি পঞ্চায়েত সমিতিরও সদস্য।আমাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।” আপনার মতামত জানান -