এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আবার গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ঝটকা দিল তৃণমূল, বিজেপির ঘর ভেঙে সংগঠনে নতুন ‘অক্সিজেন’!

আবার গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ঝটকা দিল তৃণমূল, বিজেপির ঘর ভেঙে সংগঠনে নতুন ‘অক্সিজেন’!


2019 এর লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলবদল এর হওয়ায় বিজেপির দিকেই ঝোঁক বাড়ে সবার। লোকসভা ভোটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কোনরকমে জিতে নিজেদের ঘর বাঁচিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের 42 টি আসনের মধ্যে তাঁরা অধিকার করেছিল 22 টি আসন।

অন্যদিকে, বিজেপি 2014 থেকে 2019, এই 5 বছরে তাদের সংগঠনকে পশ্চিমবঙ্গে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যার ফলে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই থেকে 18। যা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। লোকসভা ভোটের পর বিভিন্ন দল থেকে বিশেষ করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল, ইদানিং তাতে বেশ ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান পর্ব মিটতেই কিছুদিনের মধ্যেই আবার বিজেপি থেকে ঘরওয়াপসি শুরু হয় তৃণমূলে। যার ফলে এবার খানাকুলের কিশোরপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দিপুর গ্রামের 7 নম্বর সংসদ কার্যালয় আবার পুনরুদ্ধার করল তৃণমূল।

লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের পর থেকেই তৃণমূলের বিভিন্ন সদস্য, নেতা, কর্মীরা একে একে বিজেপিতে যোগ দেন। এর ফলে একের পর এক পঞ্চায়েত পার্টি অফিস দখল করেছিল পদ্ম শিবির। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মাত্র তিন মাসের মধ্যেই আবার এক এক করে নেতারা ঘরওয়াপসি শুরু করেছেন তৃণমূলে। এবার সেই অবস্থার সুযোগ নিয়ে তৃণমূল আবার পার্টি অফিস উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।

এই অভিযানে নেমেই এবার তৃণমূল কংগ্রেস খানাকুলের কিশোরপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দিপুর গ্রামের 7 নম্বর সংসদ কার্যালয় পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হল। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর এই সংসদ কার্যালয়টি তৃণমূলের হাত থেকে চলে যায় বিজেপির হাতে। লোকসভা নির্বাচনের পরেই কিশোরপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত থেকে বহু তৃণমূল নেতাকর্মীরা পদ্ম শিবিরে গিয়ে যোগ দেন। এরপর এই কার্যালয়টি বিজেপির দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় আবার তৃণমূল নেতা সদস্যরা ফিরে আসেন তৃণমূলে এবং আবার সংসদ অফিসটি পুনরুদ্ধার হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন কিশোরপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই পার্টি অফিসটি খুলে খানাকুল 1 নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ সাকিম তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পার্টি অফিস দখল করার পর এই এলাকায় বিশাল বিজয় মিছিল করে তৃণমূল। দলীয় কার্যালয় খোলার পরেই পূর্ণ উদ্যমে সেখানে কাজকর্ম শুরু হয়।

তৃণমূল সভাপতি শেখ সাকিম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন লোকসভা ভোটের পরে, তাঁদের অচিরেই মোহভঙ্গ হয়েছে এবং তাঁরা আবার নিজের দলে ফিরে আসছেন। তিনি দাবি করেছেন, যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তারা বুঝেছেন এলাকার উন্নয়ন হবে একমাত্র তৃণমূলের হাত ধরে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতেই ওই নেতা সদস্যরা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।

লোকসভা ভোটের পর যে হারে তৃণমূল দলের সদস্য ও নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাতে বিজেপি শিবির যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস অনুভব করেছিলো বলে খবর। একটা খুশির আবহ তৈরি হয়েছিল পদ্ম শিবিরে। কিন্তু বর্তমানে ঘরওয়াপসি জেরে বিজেপি যথেষ্টই চিন্তান্বিত। ইতিমধ্যেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মধ‍্যে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভোটের বাজারে সুবিধাজনক জায়গাতেই সমস্ত সদস্যরা ঘোরাফেরা করেন। এটা নতুন কিছু নয়। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!