এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মূর্তিতে কালিকাণ্ডের জের – এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পাথরের মূর্তি হচ্ছে ব্রোঞ্জের

মূর্তিতে কালিকাণ্ডের জের – এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পাথরের মূর্তি হচ্ছে ব্রোঞ্জের


শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিকে পুনরায় স্থাপনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন জটিলতা। পুরসভার তরফ থেকে জানা গেলো নতুন করে মূর্তি তৈরীর ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো মূর্তিটির কোনও নকশাও পুরসভার কাছে ছিলোনা তাই কাকে দিয়ে ঐ মূর্তি নির্মান হবে সেই বিষয়ে ধন্দ তৈরী হয়েছিলো। উল্লেখ্য ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বাম আমলে নির্মিত বহু বাম নেতার মূর্তি ও স্থাপত্য ধ্বংস করে বিজেপি সরকার মদতপুষ্ঠ দুষ্কৃতিরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই কলকাতায় কেওড়াতলা শ্মাশানে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মর্মর মূর্তিতে কালি মাখিয়ে তা ভাঙচুর করে ‘র‌্যাডিক্যাল’ নামে একটি নকশালপন্থী সংগঠন। এখন পূর্বের স্থানেই পাথরের বদলে ব্রোঞ্জের মূর্তি স্থাপন করা হবে।পুর কর্তৃপক্ষ জানালেন আগামী ২৩ জুন কেওড়াতলা শ্মশানের স্মৃতি উদ্যানে নতুন ওই মূর্তি বসানো হবে। সম্প্রতি পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নতুন করে মূর্তি তৈরীর জন্য অনুমতি দিয়েছেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বললেন, ”নতুন করে ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি করে পুরসভার স্মৃতি উদ্যানে বসানো হবে। এই ব্যাপারে মেয়র অনুমতি দিয়েছেন। প্রকল্পের জন্য প্রশাসনিক কাজও শুরু করেছে পুরসভা।” ২৩ শে জুন শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিনে ওই উদ্যানে পুনরায় নতুন মূর্তিটি স্থাপিত হবে বলে জানালেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার পুরসভার আধিকারিক-সহ স্থপতি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরনো মূর্তিটি দেখে আসেন। জানা যাচ্ছে প্রকল্পের আনুমানিক খরচ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। পুরসভার তরফ থেকে জানা গেছে কেবলমাত্র মূর্তিটি কোন সময়ে বসানো হয়েছিল এবং স্থপতি কার্তিকচন্দ্র পালের নাম পাওয়া গিয়েছিল। পরে অনেক তদবির করে তাঁর পুত্র গৌতম পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আপাতত তাঁকেই প্রকল্পের মূর্তি নির্মানের বরাত দেওয়া হয়। গৌতমবাবু বললেন, ”ওই মূর্তিটি আমার বাবা প্রথম তৈরি করেছিলেন। সেই নকশাটিও আমার কাছে রয়েছে। সেইভাবেই নতুন ব্রোঞ্জের মূর্তিটি তৈরি করা হবে বলে ভাবা হয়েছে।” কলকাতা পুরসভা নিয়ন্ত্রিত কেওড়াতলা শ্মশানের ওই স্মৃতি উদ্যানের দায়িত্বে রয়েছে পুরসভার উদ্যান দফতর। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় বললেন, ”পুরসভার নজরদারি আরও বাড়াতে হবে যাতে কোনওভাবেই এখানকার মূর্তিগুলিকে ভাঙা বা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা না হয়। যে কোনও মূর্তি সংরক্ষণের ব্যাপারে এটাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!