অধীর গড়ে কি দুর্বল হচ্ছে হাত? কংগ্রেস নেতাদের তৃণমূলে যোগদান ঘিরে জল্পনা! কলকাতা জাতীয় রাজ্য January 8, 2020 যত দিন যাচ্ছে, ততই মুর্শিদাবাদের শক্ত ঘাঁটি ভরতপুরে কংগ্রেসের সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। জানা গেছে, বর্তমানে এই ভরতপুর 1 ব্লক এলাকায় কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেছেন। যার ফলে দিনকে দিন শক্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভিত। আর এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে সেখানে সভা করতে আসছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় এখানকার অনেক তৃণমূল নেতারা কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু সেই লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃণমূলের অপূর্ব সরকারের থেকে সাড়ে সাত হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকায় ভোটের পর অনেকে আবার তৃণমূলে যোগ দেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান তালগ্রাম অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি পিন্টু শেখ, সহ-সভাপতি আলী হোসেন, শিক্ষক নেতা ইজাবুল হোসেন সহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। এছাড়াও গত শনিবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আরও প্রচুর কংগ্রেসের নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। যাদের দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলের স্বাগত জানান ভরতপুর 1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি নূর আলম এবং ভরতপুর 2 ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন। আর কংগ্রেস থেকে একের পর এক নেতাকর্মী তাদের দলে যোগ দেওয়ায়, এখন রীতিমত উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও বা এই যোগদান হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস। ভেতরে ভেতরে অস্বস্তি বোধ করলেও, এখন কিভাবে পরিস্থিতিকে নিজেদের বাগে আনা যায়, তার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে হাত শিবির। এদিন বিপুল কর্মী-সমর্থকদের দলে যোগদান করিয়ে ভরতপুর 1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি নূর আলম বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে দল ছেড়ে কংগ্রেসে যাওয়া নেতারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসছেন। আবার অনেকে দলে আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে ভরতপুর 2 ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন সিজার বলেন, “এই বিধানসভা এলাকা তৃণমূলের গড় হিসেবে মানুষ চিনবে। আগামী দিনে যেভাবে সিপিএম, কংগ্রেস নেতারা আমাদের দলে যোগ দেবে, তাতে ওই দুই দলের নেতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে।” তবে কংগ্রেস অবশ্য এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, স্বার্থসিদ্ধির জন্য কিছু কিছু নেতার তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু এর জন্য কোনো ক্ষতি কংগ্রেসের হবে না। এদিন এই প্রসঙ্গে ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই সকল নেতার জন্য সময় অপচয় করব না। আর ভোটের সময় বোঝা যাবে, কারা কোন দলে রয়েছে। তৃণমূলে যোগ দিলেও তারা কংগ্রেসের হয়ে ভোট করতে পারেন। সব কিছু সময় বলবে।” তবে কংগ্রেস যে কথাই বলুন না কেন, কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এবং দলে ভাঙন রুখতে এবার অধীর রঞ্জন চৌধুরী ময়দানে নামার পর কংগ্রেস তার হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -