দুই হেভিওয়েট শীর্ষনেতা সহ এবার সিবিআইয়ের নোটিশ পৌঁছালো খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে! জানুন বিস্তারিত জাতীয় রাজ্য December 8, 2018 সামনেই লোকসভা ভোট আর ফের সিবিআই-এর গেরোয় পড়লেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমেত তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট সাংসদের কাছে। আজ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বাংলা সংস্করণের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির প্রদর্শনী ও ছবি বিক্রি সংক্রান্ত ঘটনায় বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কোনও মালিক জড়িত রয়েছেন কী না, তা খাটিয়ে দেখতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান এবং লোকসভার সাংসদ সুব্রত বক্সির কাছে। ওই ওয়েব পোর্টালের খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কিংবা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান এবং লোকসভার সাংসদ সুব্রত বক্সির কাছেই নয় সিবিআই দফতরে রীতিমতো হাজিরা দিতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৪০ বছর ধরে সচিব হিসাবে কাজ করা মানিক মজুমদারকে। ওই পোর্টালের খবর থেকে জানা যাচ্ছে আগামী ১০ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এদিকে এই বিষয়টিকে নিয়ে চুপ নেই তৃণমূল ও। পাল্টা তাঁরা এই বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে দাবি করছে। রথযাত্রার আইনি লড়াইয়ে পরাজিত হবার পর চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এভাবে ‘চাপ’ সৃষ্টি করে তৃণমূলকে তাদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করাতে চাইছে বলে দাবি করছে ঘাসফুল শিবির এমনটাই দাবি করা হয়েছে ওই ওয়েব পোর্টালে। এখানেই শেষ নয় ওই ওয়েব পোর্টাল থেকে আরো জানা যাচ্ছে যে ওই প্রতিহিংসাপরায়ণ চাপের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নতি স্বীকার করবে না আর তাই যাঁদের নামে সিবিআইয়ের চিঠি এসেছে তাঁরা কেউ হাজিরা দেবেন না। ‘ধমক-চমক’ এর রাজনীতি বাংলায় চলবে না ,বাংলার মাটি পদ্ম শিবির চেনেনা, ফলে ভয় দেখিয়ে বিজেপির লাভের লাভ হবে না বলে দাবি তুলেছে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব এমনটাই জানা যাচ্ছে ওই পোর্টাল থেকে। ওই পোর্টাল থেকে আরো জানা যাচ্ছে যে , সিবিআই দাবি করেছে যে তৃণমূল মুখপত্রের তহবিল যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণ করে , চিঠি কেবল তাঁদেরই পাঠানো হয়েছে। আর সেই কারণেই ব্যাঙ্ক ও আয়কর দফতরে তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের ঠিকানা ৩০ বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট দেওয়া রয়েছে, তাই সেই ঠিকানাতেই চিঠি পাঠানো হয়। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রসঙ্গত , আট বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির ২ টি আলাদা প্রদর্শনী হয় আর সেই ছবি বিক্রির টাকা শাসকদলের মুখপত্রের তহবিলে জমা পড়ে। সিবিআই এর দাবি যে সেই ছবি যেমন বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিত্ব এর পাশাপাশি এই ছবি কেনেন এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিকও। আর ওই ছবি বিক্রি ও কেনবার সময় সহবিলের স্বাক্ষরকারী হিসাবে নাম আসে সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান ও দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক সুব্রত বক্সি। তাই তাঁদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পেতেই তাদেরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -