এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রীয় যোজনা থেকে বাদ! বাংলা লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ক্ষোভে ফুঁসছেন! ভোটে পড়বে প্রভাব?

কেন্দ্রীয় যোজনা থেকে বাদ! বাংলা লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ক্ষোভে ফুঁসছেন! ভোটে পড়বে প্রভাব?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনের কারণে হঠাৎ করেই তাদের রুজি রুটি বন্ধ হয়ে যায়। ভিন রাজ্যে আটকে যাওয়ায় যেমন তারা বাড়িতে ফিরে আসতে পারছিলেন না, ঠিক তেমনই বাড়ি ফিরে এখন সংসার চালানো রীতিমতো প্রধান সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে। নিজের রাজ্যে ফিরে আসলেও কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করবেন তারা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। রাজ্য হোক বা কেন্দ্র, প্রতিটি সরকার দাবি করছে, তারা সবসময় পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে রয়েছে।

কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করবার জন্য একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে চারটি রাজ্য সেই তালিকায় রয়েছে, তার মধ্যে বাংলার নাম নেই। যার ফলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফ থেকে কেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানো হল না, তা নিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তবে কেন্দ্র পাল্টা দাবি করছে, রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক ভাবে সাহায্য করছে না। আর্থিক সাহায্য দেওয়া সত্ত্বেও তারা সেই সমস্ত শ্রমিকদের পাশে থাকছে না। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে টালমাটাল পরিস্থিতি। আর একে অপরের দিকে দোষারোপ করেই সরকার নীরবতা পালন করছে বলে দাবি হতদরিদ্র সেই সমস্ত শ্রমিকদের। ফলে তাদের যে দুর্দশা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমত পরিস্থিতিতে আগামী দিনে এই গোটা বিষয়টি যে ভোটবাক্সে বড়সড় প্রভাব ফেলতে চলেছে, তা কার্যত নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের কাছে। এদিকে কেন্দ্র এবং রাজ্য 2 জায়গাতে কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেও, অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজের উদ্যোগে মুর্শিদাবাদের বেশকিছু শ্রমিককে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। একইভাবে বেশ কিছু জায়গায় সিপিএম নেতাদের দৌলতে ফিরে এসেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। যার ফলে সেই সমস্ত শ্রমিকদের আগের রাজনৈতিক পরিচয় এক থাকলেও, তারা বাড়ি ফিরে কংগ্রেস এবং সিপিএমে যোগ দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির।

আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই তৃনমূল এবং বিজেপির মধ্যে হবে বলে মনে করা হলেও, যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা এই দুই দলের উপর ক্ষুব্ধ, তাতে ভোট বাক্সে অন্তত দুঃসময়ে থাকা শ্রমিকদের ভোট কাটাকাটিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের ফলাফল কি হবে, তা কেউ জানে না। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই সংকটকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যবহার সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা ভালো করেই মনে রাখছেন। তাই তাদের এই বিশাল ভোটব্যাঙ্ক 2021 এ কাদের দিকে যায়, কারা শেষ হাসি হাসে, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের এই সমর্থন প্রমাণ করে দেবে যে, কোন রাজনৈতিক দল এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!