এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মমতা নয়, একুশে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন এঁরাই? তীব্র জল্পনা শুরু গেরুয়া শিবিরে!

মমতা নয়, একুশে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন এঁরাই? তীব্র জল্পনা শুরু গেরুয়া শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ভারতের বেশকিছু রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। চলতি বছরের শেষেই বিহারে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তেমনি আগামী বছর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ বিজেপির পক্ষ্যে যেমন জলবৎ তরল নয়, তেমনি আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি নেতৃত্বের কাছে একটি অগ্নিপরীক্ষা বলা চলে। বিজেপির সবচেয়ে বড় বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে চলেছেন।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম ও কংগ্রেস জোটবদ্ধভাবে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু এই দুই দলের শক্তি অনেকটাই ক্ষয়ীভূত। আগামী বিধানসভা নির্বাচন যে তৃণমূল বনাম বিজেপির ভোটযুদ্ধ হবে সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নির্বাচনের জয়লাভের জন্য সচেষ্ট। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি দলের প্রধান শত্রু কিন্তু তৃণমূল নয়, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মূল বিপক্ষ এখন নিজেরাই। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে বিজেপির বিরুদ্ধেই বড় লড়াই চালাতে হবে।

প্রসঙ্গত গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের ভোটের হার ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছিল বামের। আর বৃদ্ধি ঘটেছিল বিজেপির। রাজ্যের যে স্থানগুলিতে বামের শক্তি বেশি ছিল সেখানে বিজেপির ভালো ফল হয়েছিল, কিন্তু যেখানে বাম দুর্বল ছিল সেখানে বিজেপির ততটা ভাল ফল হয়নি। অন্যদিকে আসন কমে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের হার কিন্তু কমেনি বরং বেড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু অন্যান্য কিছু রাজ্যের মতো হিন্দুত্ববাদ বা বিরোধী কোনো কর্মসূচি প্রয়োগ করে ভোটে জয়লাভ করা সম্ভব হবে না। পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘ সময় ধরে বাম শাসন থাকায় ধর্মনিরপেক্ষতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য আদর্শ হয়ে উঠেছে। এই কারণেই মেরুকরনের রাজনীতি বা মমতার মুসলিম তোষণের প্রতি বিষেদাগার করে উল্লেখযোগ্য ফল লাভ করতে পারবে না বিজেপি। কারণ মেরুকরণের পরিবর্তে মেরুহিনেরই প্রভাব অধিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির আরো কিছু সমস্যা রয়েছে। যা হলো ভাষাগত ব্যবধান যেটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলে দিতে পারে। তাছাড়া গুরুতর যে সমস্যা আছে তা , বিস্বস্ত মুখের অভাব। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মতো কোন মুখ কিন্তু বাংলা বিজেপি তুলে ধরতে পারে নি। এই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিশালী মুখ বিজেপির কাছে নেই। উল্টে বিজেপির নিজেদের মধ্যে লড়াই আরো বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে একটা উন্নয়নমূলক ভাবমূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী, সাইকেল বিতরণ, স্বল্পমূল্যে চাল বিতরণ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ইত্যাদির মধ্যে বাংলার উন্নতির একটা চেষ্টা করছেন তিনি। মমতার উন্নয়নমূলক ভাবমূর্তি শাসকদলকে যথেষ্ট ডিভিডেন্ট তুলে দেবে।

তবে, আগামী ২০২১ এর ভোটে বাংলা একটি বিশাল অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর কাজ করতে চলেছে। কিন্তু মমতার উন্নয়নমূলক কাজের মানসিকতা এই ফ্যাক্টরকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে বলে অনেকের মত। তবে বামফ্রন্টের কর্মীদের মধ্যে কিছুটা আদর্শগত পরিবর্তন হয়েছে। বামফ্রন্টের বহু সদস্য হিন্দুত্ববাদ এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বও যথেষ্ট আশঙ্কার বিষয়। দিলীপ ঘোষ মুকুল রায় এর দ্বন্দ্ব কতদূর গড়াতে পারে, কতদূর ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। মুকুল রায় তৃণমূল ভাঙার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০২১ এ বিজেপিকে রাজ্যের ক্ষমতায় আনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তৃণমূলে বড় কোন ভাঙ্গন তিনি ঘটাতে পারেননি তৃণমূল এর কোন বড় নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগও দেননি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!