প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বজুড়ে করোনা হানা মাত্রই তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য শুরু হয়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের লড়াই। প্রায় সমস্ত দেশই এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এরইমধ্যে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দেশ রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, যে তাঁরা করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে। তবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। তবে শত বিতর্ক সত্ত্বেও কবে তা বিশ্ববাজারে আসবে তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। রাশিয়ার প্রতিষেধক নিয়ে সাধারণের মনে দ্বন্দ্ব থাকলেও এবার মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট কিন্তু অন্য খবর প্রকাশ করেছে।

তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য যথোপযুক্ত এবং নিরাপদ। এই ভ্যাকসিন মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম বলে জানা গেছে। ল্যানসেট প্রথম যে ভ্যাকসিন নিয়ে কথা বলেছিল, তা হলো অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন। সেই ভ্যাকসিন সম্পর্কে ল্যানসেটের গবেষকরা দাবি করেছিলেন, অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রেজেনেকার দ্বারা প্রায় 90% মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং তাতে টি কোষটিও সক্রিয় থাকছে।

ল্যানসেট পত্রিকা জানাচ্ছে, রাশিয়ার আবিষ্কৃত প্রতিষেধকটিও ঠিক এভাবেই করোনার বিরুদ্ধে কাজ করছে। ইতিমধ্যে এক মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত, এখনো পর্যন্ত 76 জনকে করোনার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। 42 দিন ধরে এই ভ্যাকসিন এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার পর দেখা গেছে, প্রথম দোজের 21 দিনের মধ্যেই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয় রিপোর্টটি পাওয়া যায় ট্রায়ালের 28 দিন পর এবং তখন দেখা যায়, রক্তে টি কোষটিও সক্রিয় হতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি এর দ্বারাও এই একই কাজ হবে এবং রোগপ্রতিরোধ হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। প্রতিষেধক ছাড়া যে বাঁচার উপায় নেই, সে কথা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বিশ্বের বড় বড় দেশ গুলি এই মুহূর্তে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছে বলে খবর। সেই সূত্রে রাশিয়ার ভ্যাকসিন সাধারণের মনে যথেষ্ট আশা জাগিয়েছে। আপাতত বিশ্বের বুকে এই ভ্যাকসিন কত দিনে সহজলভ্য হয় সেদিকেই লক্ষ্য সবার।