এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল যুব কর্মীর খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে, শুরু পুলিশি তদন্ত

তৃণমূল যুব কর্মীর খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে, শুরু পুলিশি তদন্ত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল যুব কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান তৃণমূল যুব কর্মী তথা টালিগঞ্জ আইটিআই কলেজের ছাত্র। তার একদিনের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় খালের জলে। সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রের নাম উৎপল বিশ্বাস। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল যুব কর্মী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, উক্ত ছাত্রকে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর বন্ধু-বান্ধবরা যুক্ত থাকতে পারে। ঘটনাটি বসিরহাট মহকুমা স্বরূপনগর থানার বাংলানী গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটেছে। মৃত পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, কলেজের কিছু বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেই ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল উৎপল বিশ্বাসের।

পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান করতেন। অভিযোগ উঠেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান উৎপল। তারপর তাঁকে আর কোনভাবেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার তেঁতুলিয়ার ইছামতি খালে উৎপলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। উৎপলের বাবা জানিয়েছেন, উৎপল সারাক্ষণই তাঁর কলেজের বন্ধুদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখত। তাই সন্দেহের তীর তাঁদের দিকেই উঠছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, উৎপলকে অন্য কোন জায়গায় খুন করে এনে ইছামতি খালে ফেলা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত স্থানীয় তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, উৎপলের বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করলেই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসবে। অন্যদিকে যুব তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় জেলা পরিষদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সম্বরণ মিস্ত্রী এবং স্বরূপনগর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সঞ্জীব পালের পক্ষ থেকে তীব্র শোক প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, স্বরুপনগর থানা থেকে ইতিমধ্যেই উৎপলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে, উৎপল বিশ্বাসকে খুন করেই খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে মৃতদেহের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। যেটি মৃত উৎপল বিশ্বাসের বলেই জানা গিয়েছে। সেই মোবাইলটি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য যাচাই করছে তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই খুনের পেছনে আসলে কারা জড়িত, তা নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি খোঁজখবর। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!